শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান রাস্তা হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এনজেপিতে নামার পরে পর্যটকরা মূলত এই রাস্তা ধরেই গ্যাংটকে যান। আর যারা বাসে করে সিকিম যেতে চান তাঁরাও এই রাস্তা ধরেন। কিন্তু তিস্তার হড়পা বানের জেরে সেই রাস্তার বহু জায়গায় ধস নেমেছে। একেবারে বিপর্যস্ত রাস্তা। এদিকে সামনেই পুজো। তারপর দেওয়ালি। অনেকেই সিকিম যাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
মূলত তিস্তাবাজার, রম্ভিখোলা, গেলখোলা, লিকুভির সহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিরাট ধস নেমেছে। তিস্তা খেয়ে ফেলেছে রাস্তার বড় অংশ। সেগুলিকে মেরামত করে আবার চলার উপযোগী করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে এই জাতীয় সড়ক বিগত দিনে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন দেখাশোনা করত। পরের দিকে সিকিমের দিকের অংশ সিকিমের পূর্ত দফতর ও বাংলার দিকের অংশ এই রাজ্যের পূর্ত দফতর দেখাশোনা করে। তবে আপাতত পশ্চিমবঙ্গ সরকার জাতীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের অধীন ন্যাশানাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার কর্পোরেশন লিমিটেডকে রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সঙ্গেই বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনও সহায়তা করছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুজোর আগে কি রাস্তা ঠিকঠাক হবে?
তবে সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তাটি পুজোর আগে অন্তত ওয়ান ওয়ে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আবহাওয়া মাঝেমধ্যে বিগড়ে যাচ্ছে। সেক্ষত্রে বাস্তবে রাস্তা সংস্কারের কাজ কতটা করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
বর্তমানে ঘুরপথে অনেকেই সিকিম যাচ্ছেন। লাভা, গরুবাথান হয়েও সিকিম যাওয়া যায়। আবার দার্জিলিং, সিংলা, জোড়থাং হয়েও সিকিম যাওয়া যায়। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই অনেকটা ঘুরপথে যেতে হয়। এমনকী পরিস্থিতি এমন হয়ে যাচ্ছে যে চালক ঘুরপথে সিকিমে যাচ্ছেন তিনি আর সেদিন ফিরতে পারছেন না। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যেতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। মানে কোনও চালক সকাল ৯টায় গাড়ি নিয়ে বের হলে গ্যাংটক পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে। তিনি আর ফিরতে পারছেন না।