দুর্গাপুজোর সময় কি রাতে ঘুরতে পারবেন? এখনও সে বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করল না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে প্রশাসনিক এবং সমন্বয় বৈঠক হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কীভাবে পুজো হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং প্রশাসনিক কর্তারা। সেখানে মুুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্গাপুজোয় যেহেতু রাতে অনেকে বেড়াতে আসেন, তাই রাতের বিষয়টা ভেবে দেখব। এক মাস তো দেরি আছে। আগেরবার তো রাতে ছাড় ছিল। দুর্গাপুজোয় যেহেতু রাতে মানুষ ঘুরতে বের হন, তাই ছাড় ছিল। এটা আমরা ভোটের পর (৩০ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধান্ত নেব। একটু দেরি আছে। তখন (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতি আরও নজরে আসবে। পরিস্থিতি আরও ভালো থাকবে, নাকি কেমন থাকবে, সেটা দেখা হবে। তৃতীয় ঢেউ না এলে আমরা এটা নিয়ে ভাবব।’
পরে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, করোনাভাইরাসের মধ্যে গত বছর পুজো কমিটিগুলি বিভিন্নরকম সমস্যার মুখে পড়েছিল। আগের বছর যেরকমভাবে করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে পুজো করা হয়েছিল, সেরকমভাবেই করতে হবে। পুজোর মণ্ডপে বিলি করতে হবে মাস্ক। পুজো মণ্ডপের চত্বরে নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। সরকার সাহায্য করবে। করোনা নিয়ে আমজনতাকে সচেতন করার জন্যও পুজো কমিটিগুলিকে আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘চিন্তার কিছু নেই। নিশ্চিতভাবে পুজো করুন।’
অন্যদিকে, মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়েছে। তবে ঢিলেমি দিলে চলবে না। পুজো কমিটিগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনা-বিধি মেনে চলতে হবে। তাছাড়া প্রতিবারের মতো পুজো কমিটিগুলিকে ৫০,০০০ টাকা অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। বিদ্যুতের বিলে ছাড় দেওয়া হবে ৫০ শতাংশ। পুজোর লাইসেন্স ফি পুরোপুরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের মোট ৩৬,০০০ টি ক্লাবের পুজো নথিভুক্ত করা আছে। কলকাতায় নথিভুক্ত পুজোর সংখ্যা ২,৫০০। মহিলা পরিচালিত পুজোর সংখ্যা ১,৫০০। সেই পুজো কমিটগুলিকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে।