শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর সেখান থেকে ফিরেই সোজা দত্তপুকুরে। বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন বিস্ফোরণের নানা দিক নিয়ে খোঁজ নেন তিনি।
সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বিস্ফোরণে। উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ির ছাদ। সেই ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, শুধু দুর্ঘটনা এটা নয়। অ্য়াক্সিডেন্ট আর নট অ্যাক্সিডেন্টাল। এটা বড় ঘটনা। জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তারা সত্য খুঁজে বের করবে। পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এদিকে এগরার বিস্ফোরণের পরে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। স্থানীয়দের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূল নেতারা টাকা খেতেন। সেকারণে সব জেনে তারা চুপ করে থাকত। তবে তৃণমূল অবশ্য অত্যন্ত সুকৌশলে তির ঘুরিয়ে দিয়েছে আইএসএফের দিকে। তবে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি অবশ্য এই অভিযোগ একেবারে অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকেও এদিন ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। দত্তপুকুরের ঘটনা নিয়ে তিনি তাঁদের কাছে জানতে চান।
এদিকে বিস্ফোরণস্থল থেকে বেরিয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল। এদিকে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এলাকায় একাধিক বেআইনি গুদাম রয়েছে। রাজ্যপাল একটি গুদামের সামনে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
এদিকে রাজ্যপালের দত্তপুকুর সফর নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এমনকী তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, দক্ষিণভারতের শিবকাশিতেও এমন ঘটনা হয়। তবে দুর্ঘটনা নিয়ে সাফাই দিচ্ছি না।…
তবে বিরোধীদের দাবি, এনআইএ তদন্ত করা দরকার। যেভাবে বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল তাতে আতসবাজির পক্ষে এটা হওয়া সম্ভব নয়। তবে গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকটা বার বার সামনে এসেছে। কেন পুলিশ প্রশাসন এতদিন চুপ ছিল তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে এগরার সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে দেহাংশ। ভেঙে পড়েছে বাড়ি। প্রচুর দূর থেকে শব্দ শোনা যায়। তবে এবার এনআইএ তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপি বিধায়করা সোমবার দত্তপুকুরে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। কাল বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনবে বিজেপি।