রেশন দুর্নীতির তদন্তে শনিবার বনগাঁর একাধিক আটাকল-চালকলে তল্লাশি চালালো ইডি। এদিন সকাল থেকেই তল্লাশি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একধিক টিম বনগাঁর চালকল ও আটাকলগুলোয় তল্লাশি চালায়।
শনিবার সকালে বনগাঁর রাধাকৃষ্ণ আটাকল এবং চালকলে হানা দেয় ইডির আধিকারিকেরা। একই সঙ্গে চাল ও আটাকলের মালিক বাড়িতে হানা দেয় ইডির তদন্তকারী দল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়েই ইডি আধিকারিকেরা তল্লাশিতে ঢোকেন।
রাধাকৃষ্ণ আটাকলের মালিক মন্টু দাস। তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোন যোগ ছিল কিনা তা যোগ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্তি কি না তাও খয়িয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।
এ ছাড়া চালকলের মালিক কালীদাস সাহাকেও জিজ্ঞসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকেরা। দুজনেরও বাড়িতে হানা তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।
তল্লাশি চালানোর মিলের ভিতরে কাউকে ঢুকতে-বের হতে দেওয়া হয়নি। এদিন জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ দু ব্যবসায়ীর বাড়ি ও চালকল আটাকলে তল্লাশি চালায় ইডি। কারখানা-বাড়ি দুদিকে একসঙ্গে হানা চালিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
(পড়তে পারেন। বাকিবুরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরাও, দাবি ইডির)
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নদিয়ার দুটি পৃথক রেশ ডিলার ও চালকল মালিকের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকেরা। অন্য দিকে হাওড়ার ডোমজুড়ে জালান কমপ্লেক্সের অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে একটি আটা তৈরির কারখানা এবং গোডাউনে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে বেশি দামে কম পরিমাণ খাদ্য শস্য বিক্রি করতেন বাকিবুর। অভিযোগ, ৮০০ বা ৬০০ গ্রাম আটা বিক্রি করে এক কেজির দাম নিতেন বাকিবুর। এমন কী কিছু ব্যবসায়ীর সূত্রে চাল যেত বাংলাদেশে। সেই রফতানির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে অনেক প্রভাবশালী নাকি বাকিবুরের ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। এর ফলে বাকিবুরের ব্যবসা আরও ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। সম্প্রতি দিঘায় একটি বিলাসবহুল হোটেলও তৈরি করেছিলেন বাকিবুর।
বাকিবুরের ব্যবসার সূত্রে ধরেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। কলকাতার এজেসি বোস রোডে আটা প্যাকেজিং সংস্থার দফতরে ইডি। সকাল ৮ টা থেকে চলছে তল্লাশি। মূলত আটা কল মালিকদের ভূমিকা কি ছিল? বাকিবুরের সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠতা ছিল আটাকল মালিকদের তা জানতে চাইছে ইডি।