লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বিতর্কিত মন্তব্যে ভরে যাচ্ছে রাজনীতির ময়দান। একের পর এক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। আর এবার নির্বাচনের টিকিটের সঙ্গে মাদকের নেশার তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। তাঁর তুলনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুরষ্কার ঘোষণা অসীমের, নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, ‘যে কোনও ভোট যারা টিকিট না পায় তাদের একটা অসহ্য যন্ত্রণা হয়। টিকিটের নেশা হেরোইনের নেশার থেকেও খারাপ। আমি জানি এই ব্যাপারগুলি।’ প্রসঙ্গত, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্র থেকে অসীম সরকারকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ বিজেপির স্থানীয় নেতাদের একাংশ। বিজেপি সূত্রের খবর, এই নেতাদের একাংশ সম্প্রতি মেমারিতে একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে তারা নির্দলকে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সে প্রসঙ্গে অসীম সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এছাড়াও, অসীম সরকারকে ‘ফোর’ পাশ নেতা বলেও বিরোধীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। এ প্রসঙ্গে অসীম সরকার বলেন, ‘আমি ফোর পাশ কিন্তু চোর পাশ নই।’ তিনি বলেন, ‘আমি যদি অনেক লেখাপড়া করতাম ডব্লিউবিসিএস পাশ করতাম আর তারপরে তৃণমূল নেতাদের মতো চুরি করতাম, আর জেলে যেতাম, তাহলে সেই লেখাপড়ার কোনও মূল্য থাকত না। যে পড়াশোনা চুরি শেখায় সেই পড়াশোনার কোনও মানে হয় না। তার চেয়ে ফোর পাশ অনেক ভালো। যারা নিরক্ষর, মাঠে খাটা কৃষক তারাও এদের চেয়ে অনেক ভালো।’
এছাড়াও এদিন, জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথ সভা থেকে চুরি দুর্নীতি নিয়েও কবিয়াল গান বাঁধেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। যদিও অসীম সরকারের এই ধরনের মন্তব্য এই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন।
কিছুদিন আগেই ভোট প্রচারের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আর তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য জানতে তিনি পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও অসীম সরকারের এই ধরনের প্রতিশ্রুতির পর পালটা পদক্ষেপ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। আর তার পরেই এবার টিকিটের সঙ্গে হেরোইনের তুলনা করলেন।