রাজ্যের ব্যস্ততম হাইওয়ে হল কোনা এক্সপ্রেস। এই রাস্তায় প্রচুর গাড়ির চাপ থাকে। বর্তমানে ৪ লেন রয়েছে এই হাইওয়েতে। কিন্তু, গাড়ির চাপ কম থাকার কারণে ৬ লেনের এলিভেটেড করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। সেই মতোই সেখানে উড়ালপথ তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। এর জন্য বৃহস্পতিবার ওই হাইওয়ে পরিদর্শন করেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, পূর্ত দফতর এবং হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। এদিন ওই এলাকা পরিদর্শন করার পরে আধিকারিকরা বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করা হবে। রাস্তার দু'পাশে যারা জবরদখল করে আছে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ২৫০ জন দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা রাস্তার দুপাশে বেআইনিভাবে বাড়ি এবং দোকান তৈরি করেছে। তাদের সরিয়ে দেওয়া হলে এলিভেটেড করিডর তৈরির কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ভোল বদলে যাবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের! তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সুপার হাইওয়ে, কবে চালু?
কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ৭.২ কিলোমিটার জুড়ে ছয় লেনের এলিভেটেড করিডর তৈরি করা হবে। এই এক্সপ্রেসওয়েতে এলিভেটেড করিডর তৈরির পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। শেষমেষ গত বছর এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। তাতে অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাতে সমস্যা দেখা দিয়েছি রেলের অনুমতি পাওয়া নিয়ে। কারণ এই পথেই রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাতরাগাছি সেতু। ফলে সেটি রেলের জায়গা হওয়ায় তার ওপর দিয়ে উড়াল পথ তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রেল। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে রেল সে বিষয়ে অনুমোদন দেয়। ফলে আপাতত এলিভেটেড করিডর তৈরিতে কোনও সমস্যা নেই। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলিভেটেড করিডরের দৈর্ঘ্য হবে ৭. ২ কিলোমিটার। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ক্যারি রোডের ফুটবল গেটের কাছ থেকে খেজুরতলা পর্যন্ত এই করিডর তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, তিনটে সেতুর উপর দিয়ে যাবে এই উড়ালপুল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর উচ্চতা হবে অনেক বেশি হবে
খেজুরতলার দিকে নামার সময় এই উড়ালপুলের তিনটি র্যাম্প থাকবে। যার মধ্যে একটির্যাম্প বেরোবে নিবড়ার দিকে একটি সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসের দিকে এবং অন্যটি যাবে জাতীয় সড়কের দিকে। তাতে যানজট থাকলে গাড়িগুলিকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মালবাহী লরি বা ট্রাকগুলিকে যানজট দেখা দিলে ড্রেনেজ রোড হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে, কাজ শুরু করার আগে দখলদারদের নোটিশ দেবে পূর্ত দফতর। সেক্ষেত্রে কেউ না সরলে তাদের হটিয়ে দেওয়া হবে বলে গিয়েছে। পাশাপাশি আগামী তিন বছরের মধ্যে এই এলিভেটেড করিডর তৈরির কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।