প্রায় ২ বছর হল বার্নপুর বিমানবন্দর তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিমানবন্দর চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এই বিমানবন্দরের আশেপাশে রয়েছে ১৩০টি গাছ। যার মধ্যে আছে বেশ কিছু বড় গাছ। সেই গাছ কাটায় আপত্তি তুলেছেন অনেকেই। যারফলে বিমানবন্দর চালু সম্ভব হচ্ছে না। এই গাছগুলি কাটা সম্ভব হলে বিমানবন্দর চালুর পথে আর কোনও বাধা থাকবে না। তবে গাছগুলি যে জমিতে রয়েছে সেই জমির মালিকদের একাংশের দাবি, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নতুবা অন্য জায়গায় জমির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।এদিকে ইস্কোর বার্নপুর বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে কেন্দ্র রাজ্যের চাপ ও আসছে। এই অবস্থায় কর্তৃপক্ষ চাইছে এবিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করুক জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: Domestic Air Traffic: যাত্রীর সংখ্য়ায় রেকর্ড হল দুদিনে, হিসেব জানলে চমকে যাবেন
ইস্কোর তরফে দাবি করা হয়েছে, বিমানবন্দর চালু করার বিষয়ে দ্রুত ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল আভিয়েশনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে নোটিশ আসবে। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দর চালু করার জন্য মন্ত্রী মলয় ঘটক নিজেই বেশ কয়েকবার জেলা শাসক এবং অন্যান্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও গাছ কাটা নিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিমানবন্দর লাগোয়া ধেনুয়া গ্রামে ওই গাছগুলি রয়েছে। যে সমস্ত জমিতে গাছ রয়েছে সেই জমির মালিকদের ইতিমধ্যে নোটিশ পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে জমির কয়েকজন মালিক গাছ কাটার ব্যাপারে সম্মত হলেও অনেকেই বেঁকে বসেছেন। এই অবস্থায় ইস্কো চাইছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন গাছ কাটার বিষয়ে পদক্ষেপ করুক। গাছ কাটা হলে বিমান পরিচালন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তারা সবুজ সঙ্কেত দিলেই বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক বিমান চালু হবে।
এ বিষয়ে আসানসোলের মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য জানান, বিমান পরিচালন কর্তৃপক্ষের নোটিশ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়? তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে বনদফতরের বক্তব্য, কোনও মালিক গাছ কাটার বিষয়ে অনুমতি চাইলে তারা অনুমতি দিতে পারে। এখনও পর্যন্ত কোনও জমির মালিক গাছ কাটার জন্য তাদের কাছে অনুমতি চাইনি। অন্যদিকে, জমির মালিকদের একাংশের বক্তব্য, প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে তাদের বৈঠক হয়েছে তবে গাছগুলি কাটা হলে জমির দাম থাকবে না। তা ছাড়া একতলার বেশি বাড়ি করতে পারবেন না। তাই তারা চাইছেন হয় তাদের জমির বিনিময়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক না হলে অন্য জায়গায় জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদনে সাড়া দেয়নি। সেই কারণে তারা গাছ কাটার বিষয়ে সম্মত হচ্ছেন না।