গত সোমবার বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন মৎস্যজীবী শঙ্কর সর্দার। তবে তাকে শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। নজিরবিহীনভাবে মৃত ওই মৎস্যজীবীর চক্ষু দান করলেন তার পরিবার। এর আগে বাঘের হামলায় মৃত কোন মৎস্যজীবীর অঙ্গদান করা হয়েছে কিনা তা মনে করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। ফলে শঙ্করের পরিবারের পদক্ষেপকে নজিরবিহীন বলে তারা জানাচ্ছেন।
মৃত মৎস্যজীবী শঙ্করের স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন শঙ্করের স্ত্রী মনসা সরদার। তার কথায় পেট চালানোর জন্য জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল আমার স্বামী সে আর ফিরবে না কোনদিন তার চোখের সাহায্যে অন্য মানুষ দেখতে পারবেন সেই কারণে আমার স্বামীর মরণোত্তর চক্ষুদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মনে করছেন, চক্ষুদানের মাধ্যমে এভাবেই তিনি অন্যের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।
বাঘের হামলায় মৃত কোনও ব্যক্তির অঙ্গদান এর আগে করা হয়নি বলে জানিয়েছেন রিজিওনাল অর্গান এ্যান্ড টিস্যু ট্র্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশনের যুগ্ম অধিকর্তা অর্পিতা রায়চৌধুরী। একই সঙ্গে ওই মৎস্যজীবীর মৃত্যু নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তার পরিবার যে উদ্যোগ নিয়েছে আগামী দিনে তা অন্যান্য মৎস্যজীবীদের পথ দেখাবে বলে তিনি মনে করছেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে শঙ্করের মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য আবেদন করা হয় তার পরিবারের লোকেদের কাছে।