কাঁকড়া বিক্রি করেই চলে সংসার। তাই কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবী। তারইমধ্যে মৎস্যজীবীর উপর হামলা করল বাঘ। মৎস্যজীবীর সঙ্গীরা তাঁকে বাঘের মুখে ফেলে পালাননি। বরং বাঘের সঙ্গে লড়াই করে সঙ্গীকে ফিরিয়ে আনলেন মৎস্যজীবীরা। শনিবার বিকেলে সুন্দরবনের হলদিবাড়ির জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৌড়হরি মাইতি নামে ওই মৎস্যজীবীর চিকিৎসা চলছে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে। এ নিয়ে শুধু নভেম্বরেই পরপর চারবার মৎস্যজীবীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ।
গত শনিবার হলদিবাড়ির জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। সেই সময় গৌড়হরি জঙ্গলের কিছুটা ভিতরে চলে গিয়েছিলেন । কিন্তু, ওত পেতে থাকা শিকারের আশায় বসে থাকা বাঘ তার নজরে আসেনি। এরপর সুযোগ বুঝেই বাঘটি ঝাঁপিয়ে পড়ে গৌড়হরির উপর। তাঁর চিৎকার শুনে অন্যান্য মৎস্যজীবীরা সেখানে ছুটে যান। তাঁরা লাঠি, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে বাঘের উপর হামলা করেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বেশ কিছুক্ষণ পর বাঘটি গৌড়হরিকে ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় গৌড়হরিকে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করেন মৎস্যজীবীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর চিলমারির খাল এলাকায় বাঘের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজারি মণ্ডল নামে এক মৎস্যজীবী। তার দিনচারেক আগে পীরখালি জঙ্গল এলাকায় আশিস হাজরা নামে এক মৎস্যজীবী বাঘের হানায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তারও কিছুদিন আগে বাঘের কবলে মারা গিয়েছিলেন সেলিম মোল্লা নামে এক মৎস্যজীবী।
যদিও বন বিভাগের তরফ থেকে বারবার মৎস্যজীবীদের ঘন জঙ্গলে না যাওয়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে। কিন্তু, তারপরও অনেক সময় মাছ এবং কাঁকড়া ধরতে জন্য ঘন জঙ্গলে চলে যাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। তাঁদের দাবি, মাছ এবং কাঁকড়া বিক্রি করে তাঁদের জীবন চলে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের শিকার করতে যেতে হয়।