বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বাড়ির পাঁচ সারমেয়র মৃত্যুতে বিশাল শ্রাদ্ধ, চন্দননগরে নিমন্ত্রণ ৫০০ জনের

বাড়ির পাঁচ সারমেয়র মৃত্যুতে বিশাল শ্রাদ্ধ, চন্দননগরে নিমন্ত্রণ ৫০০ জনের

শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হল একসঙ্গে।

ঘোষদস্তিদার পরিবারে পাঁচ সারমেয় বিভিন্ন সময়ে মারা যায়। কিন্তু তাদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হল একসঙ্গে। চন্দননগরের পাশাপাশি ওই পরিবারের রাজারহাটের বাড়িতেও আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের। এই বিশাল আয়োজন দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণ মানুষের। এমনও যে হতে পারে তা কেউ কল্পনা করতে পারছেন না।

বাড়ির পাঁচ সারমেয় মারা গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু তাদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান একসঙ্গে ঘটা করে করা হল। এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার চন্দননগরে। এই পাঁচ সারমেয়র নাম— কুটুস, লিডু, পাগলু, রানি, বাচ্চু। বাড়ির পাঁচ সারমেয় মারা গিয়েছে। তাই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল চন্দননগরের দিনেমারডাঙার ঘোষদস্তিদার পরিবার। সেখানেই ছিল কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার আয়োজন।

ঠিক কী ঘটেছে চন্দননগরে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘোষদস্তিদার পরিবারে পাঁচ সারমেয় বিভিন্ন সময়ে মারা যায়। কিন্তু তাদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হল একসঙ্গে। চন্দননগরের পাশাপাশি ওই পরিবারের রাজারহাটের বাড়িতেও আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের। এই বিশাল আয়োজন দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণ মানুষের। এমনও যে হতে পারে তা কেউ কল্পনা করতে পারছেন না। রসিকতা কর অনেকে বলেন, ‘‌টাকা থাকলে ভূতের বাবার শ্রাদ্ধও হয়।’‌

কেমন আয়োজন করা হয়েছিল?‌ জানা গিয়েছে, শ্রাদ্ধের শেষে ১০০ পথকুকুরকে খাওয়ানো হল মাংস–ভাত। ঘোষদস্তিদার পরিবার পাড়া–প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ জনকে নিমন্ত্রণ করে খাইয়েছেন। সেই খাদ্যতালিকায় ছিল, ভাত, ডাল, আলুভাজা, পটলের দোলমা, পনির বাটার মশালা, পাপড়, চাটনি এবং নানারকমের মিষ্টি।

ঠিক কী বক্তব্য পরিবারের?‌ এই বিষযে পরিবারে সদস্য অরুণ ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘ওরা (‌সারমেয়)‌ আমাদের পরিবারের সদস্য। তাই এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে কোনও খামতি রাখা হয়নি। বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রিয়জনের মৃত্যু হলে যেভাবে শ্রাদ্ধ করা হয়, আমরাও সেভাবেই ওদের শ্রাদ্ধ করেছি। নিমন্ত্রণ করে ৫০০ জনকে খাইয়েছি। ১০০ পথকুকুরদেরও মাংস–ভাত খাইয়েছি।’ পথকুকুরদের জন্য হাসপাতাল করার পরিকল্পনা আছে এই পরিবারের।

বন্ধ করুন