অবশেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির ঠিক কোন জঙ্গলে বাঘটি রয়েছে তা নিশ্চিত করতে পেরেছে বনদফতর। সোমবার ভোর থেকেই বনদফতর বাঘ ধরার কাজে নেমে পড়ে। এদিকে বনদফতরের সেই আয়োজন দেখতে একেবারে কাতারে কাতারে ভিড় গোটা এলাকায়। যেন মেলা বসে গিয়েছে। বাঘ সামলাতে পারলেও এত মানুষকে সামলাতে গিয়ে পুলিশ ও বনদফতর এদিন সকাল থেকেই কার্যত হিমসিম খায়। তবে বিকালে গড়িয়ে সন্ধ্যার কোলে ঢলে পড়লেও এদিন বাঘ ধরা যায়নি।
আপাতত বাঘ ধরার সেই কাজ এদিনকার মতো স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। অবিলম্বে সমস্ত বাসিন্দাকে ঘরে ফিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘরে খিল এঁটে ঘুমিয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞরা যন্ত্রপাতি নিয়ে মঙ্গলবার আসবেন। তারপরই বাঘ ধরার কাজ পুরোদমে শুরু হবে।
এদিকে বাঘ ধরার জন্য ভোর থেকে কম চেষ্টা করেনি বনদফতর। জাল নিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার ও বনদফতরের কর্মীরা গোটা এলাকায় দিনভর দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘুমপাড়ানি গুলি করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। এমনকী বাঘটিকে চমকে দিতে প্রায় শখানেক পটকাও ফাটানো হয়। কিন্তু জঙ্গলে বাঘ আছে বোঝা গেলেও সেটি বাইরে বেরতে চায়নি। এদিকে গোটা এলাকায় দিনভর চক্কর কেটেছে ড্রোন। কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু হয়নি। এদিকে দমকলের সাহায্যে জল দিয়ে বাঘটিকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঘ বাবাজির দেখা নেই। অগত্যা শেষ বিকালে মাইকে ঘোষণা করে কার্যত এদিনকার মতো রণেভঙ্গ দিয়েছে বনদফতর।