বর্ষাকাল মানেই ঘাটাল জলময়। ফি বছরের দুর্ভোগ। কবে যে মুক্তি কেউ জানে না। তবে গরমকালে আবার জলের সংকট। গরমকালে পরিশ্রুত পানীয়জলের দাবিতে বাসিন্দারা বার বার আওয়াজ তোলেন। এদিকে সেই দাবি মেনে ঘাটালে জলপ্রকল্প রূপায়ণ করার জন্য় জলের ট্যাঙ্কও তৈরি করা হয়েছিল। জলজীবন মিশন প্রকল্পে ঘাটালে জলপ্রকল্প তৈরির জন্য ৬ কোটি টাকা ব্যয়ও করা হয়েছে। কিন্তু গত তিনবছর ধরে কার্যত পড়ে রয়েছে সেই জলপ্রকল্পের ট্যাঙ্ক। সেই দলপ্রকল্প কার্যত বিশ বাঁও জলে চলে গিয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগ্রাম এলাকা। সেখানেই পানীয় জলের ভয়াবহ সংকট। আর সেই সংকট দূর করতেই এই পানীয় জলের ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ট্যাঙ্ক থেকে পানীয় জল সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা নেই। দিনের পর দিন এলাকার লোকজন এনিয়ে দাবি জানিয়েছেন। সেই মতো জলজীবন মিশন প্রকল্পে জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এরপর অনেক আশায় বুক বেঁধেছিলেন ওই এলাকার মানুষ। নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। এরপর তিনটে বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই জলের ট্যাঙ্ক আর ব্যবহার করা যায়নি। দিনের পর দিন ধরে কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই জলের ট্যাঙ্ক। নামেই পানীয় জলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু সেই ট্যাঙ্কের কোনও কার্যকারিতা নেই।
খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই পানীয় জলের ট্যাঙ্ক কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ট্য়াঙ্ক শেষ পর্যন্ত কারোর কাজে লাগেনি। এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট আসছে। কবে ফের এই জলের ট্যাঙ্ক বাসিন্দাদের কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে অবশ্য় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে কবে ফের সেই শুকনো খটখটে জলের ট্যাঙ্কে জল আসবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
ফের ভোট আসছে। এখানে দীপক অধিকারী ওরফে দেব প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্য়ান শেষ করার ব্যাপারে কথা দিচ্ছেন অনেকেই। এমনকী রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও এনিয়ে বড় আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন বর্ষার আগে তো আসছে গরমকাল। আর সেই গরমকালেই লোকসভা ভোট। খাওয়ার জল কি মিলবে? হিরণ চট্টোপাধ্য়ায় এবার ঘাটাল থেকে বিজেপির প্রার্থী। তিনি এনিয়ে কী বলেন সেটাই দেখার।