কিছুদিন আগেই কেশপুর থানায় বদলি হয়ে এসেছিলেন এসআই। থানা লাগোয়া ব্যারাক থেকে রহস্যজনকভাবে ওই পুলিশ অফিসারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানা চত্বরে। তড়িঘড়ি ওই আধিকারিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এরপর তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে মৃত পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এক পুলিশকর্মীর দিকে।
তবে কি কারণে ওই অফিসারের এই মর্মান্তিক পরিণতি হল, এই ঘটনাটি পরিকল্পনামাফিক খুন না-আত্মহত্যা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে মৃত অফিসারের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই আধিকারিকের নাম সঞ্জয় চৌধুরী। আদতে পুরুলিয়ার বাসিন্দা ওই পুলিশ আধিকারিক রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তিনি পুরুলিয়া থেকে কেশপুর থানায় বদলি হয়ে এসেছিলেন। মেদিনীপুরের পুলিশ আবাসনে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সঞ্জয়বাবু।
এদিন ঘটনার খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী ঈপ্সিতা চৌধুরী। তিনি বিষ্ণুপুর থানায় কর্মরত এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী, ওই পুলিশ আধিকারিকের আত্মহত্যা সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
তাঁদের দাবি, বরাবরই হাসিখুশি স্বভাবের মানুষ ছিলেন সঞ্জয়বাবু। সেক্ষেত্রে তিনি কোনওভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না। এমনকী, শুক্রবার রাতেও স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, তখনও তাঁর কথায় কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কাজ করতে এসে থানা লাগোয়া ব্যারাকে ওই পুলিশ আধিকারিকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এক পরিচারিকা। তাঁর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। তড়িঘড়ি সঞ্জয়বাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা তা জানতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে কেশপুর থানার পুলিশ।