ডায়মন্ডহারবার থেকে দিঘা মোহনা—দেদার ইলিশ উঠেছে এবং বাঙালির রসনাতৃপ্ত করেছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশের উপকূলের নদীতে ইলিশ ধরা পড়ার কথা থাকলেও তা ধরা দিচ্ছে না মৎস্যজীবীদের জালে। তার জেরে হতাশ মৎস্যজীবীরা। আর যে সামান্য ইলিশ উঠছে তার দাম বেশ চড়া বলে জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। তবে বৃষ্টি বাড়লে এবং নদীতে জোয়ারের স্রোত বাড়লে ইলিশ ধরা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কারণে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ মিলছে না এপার বাংলার মানুষজনের।
এদিকে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের ইলিশের উৎপাদন বেড়েই চলেছে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত। বাংলাদেশের ইলিশ সীমানা পেরিয়ে এদেশে ঢুকে পড়ে। সেখানে এখন তা দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশেই এখন ইলিশ মাছ কম মিলছে বলে সূত্রের খবর। গত ২৩ জুলাই রাত থেকে শুরু হয় সমুদ্রে মাছ ধরা। তখন থেকেই দেখা যাচ্ছে নদীতে সামান্য ইলিশ ধরা পড়ছে। তার দামও চড়া। বৃষ্টি কম হওয়ায় নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়েছে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। পদ্মার ইলিশ এপারে আসছে না বলে মন খারাপ মৎস্যজীবী থেকে আম বাঙালির।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতির কথা এখন জানাজানি হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বিজ্ঞানী আশরাফুল আলম সংবাদমাধ্যমে জানান, ইলিশের প্রজনন এবং সফলতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আশরাফুল আলমের কথায়, ‘ইলিশের প্রজনন ও সফলতার হার এখন বাড়ছে। ইদানিং কয়েক বছর তেমনই দেখা যাচ্ছে। এবারও ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। তবে ওপারের ইলিশ এপারে কবে আসবে সেটা বলা যাচ্ছে না।’ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মুখ্য বৈজ্ঞানিক আনিসুর রহমানও ইলিশ ধরা পড়ছে না বলেই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাসের সামনে আটক পাকিস্তানের মহিলা, কয়েক দফায় চলছে জেরা
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? এদেশের ইলিশ ব্যাপক হারে মিললেও বাংলাদেশের ইলিশ মিলছে না। এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মুখ্য বৈজ্ঞানিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়লেও এখন নদীতে ইলিশ কম মেলাটা স্বাভাবিক। অগস্ট মাসের আগে ব্যাপক হারে ইলিশ ধরা পড়বে না। কারণ এখন ইলিশ ধরা পড়ার সময়ের পরিবর্তন হয়েছে।’ এদিকে মৎস্য অধিদফতরের ইলিশ শাখার প্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, ‘এবারও ইলিশের ভাল উৎপাদন হবে।’ পরিসংখ্যান বলছে, গত একদশকে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন দুলাখ মেট্রিক টনের বেশি বেড়েছে। এবার ইলিশের উৎপাদন সেদেশে কতটা হয় এখন সেটাই দেখার।