আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখানে স্বামীর অফিসে এসেছিলেন স্ত্রী। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে অভিযোগ করেন, ‘ভিতরে মধুচক্র চলছে।’ তখন তাঁদের ওই মহিলাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং ছবি দেখিয়ে মুক্তি পান তাঁরা।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের ১ ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েতের সচিব নীলকমল দাস। তিনি কর্মসূত্রে নন্দীগ্রামে থাকেন। গত কয়েকদিন কাজের চাপে বাড়ি ফিরতে পারেননি নীলকমলবাবু। তাই তাঁর কর্মস্থলে এসে উপস্থিত হন স্ত্রী। রাত হয়ে গিয়েছিল কথা বলার সময়ে। তখন পঞ্চায়েত অফিসে কাজ করছিলেন নীলকমলবাবু। আর অফিসের ভিতর স্বামী–স্ত্রী ছিলেন। রাতে পঞ্চায়েত অফিসে আলো জ্বলতে দেখে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিজেপির অভিযোগ, গোকুলনগর পঞ্চায়েত অফিসে রাতের বেলা মধুচক্রের আসর বসে। তখন সেখানে পুলিশ আসে। আর স্বামী–স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পর মহিলার অভিযোগ, সারারাত নন্দীগ্রাম থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ের রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট এবং স্বামী–স্ত্রীর ছবি দেখিয়ে মুক্তি মেলে। পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকার পর নীলকমলবাবু স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘এখানে সমস্যা আছে। বাইরে যাও।’ এবার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাও সেখানে জড়ো হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে নন্দীগ্রামের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কী বলছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান? এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গোকুলনগর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অশোক কুমার দাস বলেন, ‘মিথ্যা ঘটনা। বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবাস যোজনার কিছু অতিরিক্ত কাজের জন্য আশাকর্মীরা সেখানে গিয়েছিলেন। বিজেপি তাদের ঘিরে ধরে অপপ্রচার করেছে।’ আর ওই মহিলা বলেন, ‘আমি রাজনীতির শিকার হলাম। যাঁরা এই ঘটনা ঘটাল তাঁরা আর একটু সতর্ক হতে পারত। আমার কথাই কেউ শুনল না।’