বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > চারদিন বউদির দেহ আগলে ননদ, আবার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া দেখা গেল হুগলিতে

চারদিন বউদির দেহ আগলে ননদ, আবার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া দেখা গেল হুগলিতে

বউদির পচাগলা দেহ আগলে বসে রইল কিশোরী ননদ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)

এই গোটা পরিবারটি আসলে বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। স্বামী সোনুকুমার ঘোষ স্ত্রী দীপমালাকে অসুস্থ দেখেই বাইরে তালা দিয়ে চলে যান। তাঁর এখনও কোনও টিকি পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে হন্যে হয়ে খুঁজছে। আর ননদ কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। কারণ বেশিরভাগ তথ্যই তার অজানা।

আবার দেখা গেল রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া। তবে সেটা কলকাতায় দেখা যায়নি। এবার এই ঘটনা দেখা গেল হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। টানা চারদিন ধরে বউদির পচাগলা দেহ আগলে বসে রইল কিশোরী ননদ। যা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। শনিবার রাতে পচা দুর্গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তখন বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় এগোতে ইতস্তত করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে চুঁচুড়ার ধরমপুর মহিষমর্দিনী তলা এলাকায়। আজ, রবিবার সকাল থেকে তা চাউর হয়ে যায়।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দিন ওই মহিলার স্বামী ঘরের বাইরে তালা লাগিয়ে চলে গিয়েছেন। কেন তালা লাগিয়ে চলে গেলেন তার উত্তর এখনও মেলেনি। সুতরাং মৃত মহিলার স্বামীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে মৃত মহিলার ননদ বিশেষ কিছু তথ্য দিতে পারেননি। তাই গোটা ঘটনা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। এই পচা দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে সেখানে পুলিশ আসে। আর দরজা ভেঙে এই দৃশ্য দেখতে পান সবাই। ওই ননদ সেখানে চুপ করে বসেছিলেন। যা নিয়ে আজ এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম দীপমালা কুমারী (‌৩২)‌। তাঁর স্বামী সোনুকুমার সিং এবং ননদ এই বাড়িতে একসঙ্গে ভাড়া থাকতেন। এই বাড়ির মালিক কৃষ্ণকান্ত ঘোষ পুলিশকে জানান, গত একমাস ধরে ভাড়ায় আছেন তাঁরা। খুব কম কথা বলতেন সবাই। তিনজনের কেউই ঘরের বাইরে বেশি বেরতেন না। কারও সঙ্গে এলাকায় মিশতেন না। শনিবার রাতে ওদের ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহটি চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এখন সেখানে চাপা আতঙ্ক রয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নানা বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ এবার দুর্গাপুজো নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে বিজেপি, তৃণমূলকে টেক্কা দিতে জারি নির্দেশ

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই গোটা পরিবারটি আসলে বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। স্বামী সোনুকুমার ঘোষ স্ত্রী দীপমালাকে অসুস্থ দেখেই বাইরে তালা দিয়ে চলে যান। তাঁর এখনও কোনও টিকি পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে হন্যে হয়ে খুঁজছে। আর ননদ কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। কারণ বেশিরভাগ তথ্যই তার অজানা। সুতরাং এটার পিছনে কোনও বদ পরিকল্পনা ছিল বলে পুলিশ মনে করছেন। তাঁর দাদা সোনু শনিবার সকালে দরজায় তালা মেরে চলে গিয়েছেন। কিন্তু পুলিশের সূত্র বলছে, মহিলার মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে চারদিন আগে। তাহলে সেটা দেখেও এভাবে রেখে দিয়ে চলে গেলেন স্বামী। তাও তালা লাগিয়ে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।

বন্ধ করুন