Hoogly: বাড়ি থেকে ১০ কিমি দূরে এগ রোল খেতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ নাবালকের

ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে তালবোনা কলোনিতে। সুরেশের বাবা ববি রায় গাড়ি চালান, প্রীতমের বাবা নিরঞ্জন মণ্ডল ট্রেনে হকারি করেন। কষ্টে ছেলে মানুষ করছিলেন ২ জনেই। অকালে ২ বন্ধুর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

পথদুর্ঘটনায় নিহত এক যুবককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। 

মাথায় ছিল না হেলমেট। শীতের মোটরসাইকেল চালিয়ে এগরোল খেতে গিয়ে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২ নাবালকের। বৃহস্পতিবার রাতে হুগলির পাণ্ডুয়ায় তিন্না ষষ্টী পুকুরের কাছে একটি স্করপিয়ো গাড়ি তাদের ধাক্কা মেরে পালায়। সুরেশ রায়(১৭) ও প্রীতম মণ্ডল(১৭) নামে ২ কিশোরকে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

নিহত ২ কিশোর পাণ্ডুয়ার তালবোনা কলোনির বাসিন্দা। একই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে এগরোল খেতে যায়। ফেরার সময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন প্রীতম। তখনই তিন্না ষষ্টী পুকুরের কাছে একটি স্করপিও গাড়ি প্রবল বেগে তাদের ধাক্কা মেরে পালায়। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন ২ জন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে তালবোনা কলোনিতে। সুরেশের বাবা ববি রায় গাড়ি চালান, প্রীতমের বাবা নিরঞ্জন মণ্ডল ট্রেনে হকারি করেন। কষ্টে ছেলে মানুষ করছিলেন ২ জনেই। অকালে ২ বন্ধুর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

ওদিকে এই ঘটনা রাস্তায় পুলিশি নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কী ভাবে ২ জন নাবালক লাইসেন্স ও হেলমেট ছাড়া ১০ কিলোমিটার দূরে মোটরসাইকেল চালিয়ে এল। কেন রাস্তায় কোনও পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা ছিল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।