ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের হস্টেলের পেঁয়াজ রসুনের গন্ধ সহ্য হচ্ছিল না। তাই গীতা হাতে নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই হস্টেল ছাড়ল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দিনভর খোঁজা খুঁজির পর অবশেষে রঘুনাথপুরের এক মন্দির থেকে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে জয়ন্ত গোপ নামে ওই ছাত্রের। ছেলেকে পেয়ে ধড়ে প্রাণ এসেছে বাবার।
পুরুলিয়া শহরের বাইরে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র জয়ন্ত। রবিবার সকালে হস্টেল থেকে ফোন করে জয়ন্তর বাবা হরিপদ গোপকে জানানো হয় ছেলে নিখোঁজ। সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। ডায়েরি পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফু়টেজে দেখা যায়, খুব ভোরে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছে জয়ন্ত। এর পর রঘুনাথপুরের বাসে উঠতে দেখা যায় তাকে।
এর পর রঘুনাথপুর থানাকে খবর দেয় সদর থানা। সোমবার সকালে রঘুনাথপুরের নতুনডি গ্রামের একটি মন্দিরে ছেলেটিকে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশকর্মীরা এসে জয়ন্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এর পর চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে কিশোরকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জয়ন্তর বাবা জানিয়েছেন, ছেলে আমাকে বলেছে, সকালে হস্টেল থেকে বেরিয়ে রঘুনাথপুরের বাসে ওঠে সে। রঘুনাথপুরের একটু আগে বাস থেকে নেমে আলপথ ধরে হাঁটা শুরু করে। এর পর সে পৌঁছে যায় নতুনডি গ্রামে। সেখানে একটি মন্দিরে রাত কাটায় জয়ন্ত।
কিন্তু কেন হস্টেল থেকে পালাল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র? হরিপদবাবু বলেন, ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের আমিষ খাবার ও পেঁয়াজ – রসুনের গন্ধ সহ্য হচ্ছিল না নিরামিষভোজী ছেলের। তাই হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছিল সে।