পণের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। শনিবার রাতে পূজা ঘোষ (১৮) নামে ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বাপের বাড়ির লোকেদের। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও জাকে আটক করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তিন বছর আগে চ্যাংদোনা গ্রামেের বসাকপাড়ার বাসিন্দা সন্তু ঘোষের সঙ্গে পালান হরেকৃষ্ণ কলোনির মেয়ে পূজা। বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন তাঁরা। বছরখানেক পর তাঁদের একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পুত্রসন্তান জন্মায়।
মৃতের বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য পূজার ওপর চাপ দিত শ্বশুর, শাশুড়ি ও জা। চলত মারধর। পূজার বাবা রামপ্রসাদ হালদারের দাবি, ‘মেয়ের ওপর লাগাতার শারীরিক নির্যাতন চলত।’
মৃতার মা সীমাদেবী জানিয়েছেন, শনিবার রাতে স্বাভাবিক ভাবে ফোনে কথা বলে মেয়ে। গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনে জানানো হয় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। আমরা গিয়ে দেখি, মেয়ের দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। আত্মঘাতী হলে কেন তাঁর গায়ে আঘাতের চিহ্ন? সীমাদেবীর দাবি, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে মেয়েকে।
এর পর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রামপ্রসাদবাবু। রাতে স্বামী-সহ অন্যান্যদের আটক করে পুলিশ।