মাথার উপর কাঠফাটা রোদ্দুর। ছাতা দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করলেও রক্ষে নেই। দরদর করে ঘামছেন অনেকেই। এর উপর ভ্যাকসিনের লাইনে তিলধারণের জায়গা নেই। সেই কোন ভোরবেলা থেকে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। একটা ভ্যাকসিনের জন্য। কয়েকজন পরিশ্রান্ত শরীরে বসে পড়েন মেঝেতে। শুক্রবার এটাই ছিল বারাসত হাসাপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইনের দুর্ভোগের ছবি। কীভাবে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, কোনও কাগজপত্র লাগবে কিনা, একদিনে কতজন ভ্যাকসিন পাবেন অনেকের কাছেই এব্যাপারে কোনও তথ্য নেই। তবুও একটা ভ্যাকসিনের জন্য সেই ভোরবেলা থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ালেন তাঁরা। অধিকাংশই বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। এক জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় একেবারে জর্জরিত অবস্থা। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের বাড়িতেই থাকার কথা। তবুও এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন তাঁরা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে রেশন যদি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্য়বস্থা করতে পারে সরকার, তবে কোভিড ভ্যাকসিন নয় কেন?
অন্যদিকে এদিন বারাসত হাসপাতালে ভ্যাকসিনের লাইনেও স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে পরিচিত থাকার সুবাদে কয়েকজন লাইন ভেঙে পেছনের দরজা দিয়ে ভ্যাকসিন নেন বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেই গিজগিজে ভিড়ে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। লাইনে দাঁড়ানো একমাঝবয়সী এক মহিলা বলেন, 'কয়েকজন বেলাইনে ভ্যাকসিন নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন পাচ্ছি না।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক বৃদ্ধের দাবি, 'ভোট ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তিনটে তাঁবু টাঙাতে কত খরচা হত? এত অমানবিক প্রশাসন ভাবা যায় না।' তবে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মাথার উপর কাঠফাটা রোদ্দুর। ছাতা দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করলেও রক্ষে নেই। দরদর করে ঘামছেন অনেকেই। এর উপর ভ্যাকসিনের লাইনে তিলধারণের জায়গা নেই। সেই কোন ভোরবেলা থেকে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। একটা ভ্যাকসিনের জন্য। কয়েকজন পরিশ্রান্ত শরীরে বসে পড়েন মেঝেতে। শুক্রবার এটাই ছিল বারাসত হাসাপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইনের দুর্ভোগের ছবি। কীভাবে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, কোনও কাগজপত্র লাগবে কিনা, একদিনে কতজন ভ্যাকসিন পাবেন অনেকের কাছেই এব্যাপারে কোনও তথ্য নেই। তবুও একটা ভ্যাকসিনের জন্য সেই ভোরবেলা থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ালেন তাঁরা। অধিকাংশই বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। এক জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় একেবারে জর্জরিত অবস্থা। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের বাড়িতেই থাকার কথা। তবুও এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন তাঁরা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে রেশন যদি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্য়বস্থা করতে পারে সরকার, তবে কোভিড ভ্যাকসিন নয় কেন?
অন্যদিকে এদিন বারাসত হাসপাতালে ভ্যাকসিনের লাইনেও স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে পরিচিত থাকার সুবাদে কয়েকজন লাইন ভেঙে পেছনের দরজা দিয়ে ভ্যাকসিন নেন বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেই গিজগিজে ভিড়ে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। লাইনে দাঁড়ানো একমাঝবয়সী এক মহিলা বলেন, 'কয়েকজন বেলাইনে ভ্যাকসিন নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন পাচ্ছি না।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক বৃদ্ধের দাবি, 'ভোট ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তিনটে তাঁবু টাঙাতে কত খরচা হত? এত অমানবিক প্রশাসন ভাবা যায় না।' তবে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
|#+|