ফের থানায় ডাক পড়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর। তবে থানা থেকে ঘণ্টা তিনেক পরে বেরিয়ে তিনি জানিয়ে দেন তদন্তে সহযোগিতা করবেন। তবে তার সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, আদালত ২ ঘণ্টা জেরার কথা বলেছিল। কিন্তু থানায় ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখার হল।
শ্মশান দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীর। একাধিকবার কাঁথি থানায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরেও থানায় তলব করা হয়েছিল তাঁকে। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি বেলা ১টা নাগাদ থানায় আসেন।
এদিকে এর আগে তিনি একবার গীতা নিয়ে থানায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন। তিনি এর আগে অভিযোগ তুলেছিলেন বসিয়ে রাখলেও বইও পড়তে দেওয়া হয় না থানায়। তবে তদন্তে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন।
তবে এদিন দুপুর ১টায় তিনি থানায় যান। তাঁর আইনজীবীরাও সঙ্গে ছিলেন। এরপর ঘন্টা তিনেক পরে তিনি থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, উচ্চ আদালত জানিয়েছিল আমাকে দুঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না। অথচ তিন ঘণ্টা থানায় রাখা হল। তদন্ত কী হচ্ছে না হচছে তা তদন্তকারীরা জানেন। আমার তদন্তে সহযোগিতা করার কথা, সেটা করব। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, যতবার ডাকবে ততবার আসব।
এর সঙ্গে এদিনও তিনি জানান, থানায় ঢোকার সময় আমি একটি বই নিয়ে গিয়েছিলাম। কেউ আপত্তি করেননি। আগামী সোমবার আবার নোটিস দেওয়া হয়েছে আমাকে। যতবার ডাকা হবে তত বারই আসব। আমার কোনও অসুবিধে নেই।
এদিকে শ্মশান দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে তদন্তে সহযোগিতা করার ব্যাপারে বার বারই জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই। ডাকলেই তিনি থানায় হাজিরা দিয়ে দেন।
প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক অবস্থান বদলের জেরেই কি শান্তিকুঞ্জের বাসিন্দা সৌমেন্দুর উপর এত চাপ? তৃণমূলে থাকার সময় সৌমেন্দু ছিলেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। তাঁকে পুরসভার প্রশাসকও করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিকভাবে অবস্থান বদলে ফেলেছিলেন শুভেন্দু। তারপর থেকেই সৌমেন্দুর উপর চাপ বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। শ্মশান দুর্নীতির ফাইল ফের খোলা হয়। এরপর দফায় দফায় সৌমেন্দুকে থানায় ডেকে নিয়ে এসে জেরা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। সেই কাজ চলছে এখনও।