উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার চেতনাগছে ৪ শিশুর মৃত্যু ঘটনায় এবার জেসিবি চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জেসিবিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় মৃত শিশুদের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন গোটা গ্রামের মানুষ। পরে সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি কবরস্থানে মৃতদেহগুলি সমাধিস্থ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালির মতোই গুরুত্ব দিন’, চোপড়ায় শিশুমৃত্যু নিয়ে BSF-কে দুষে রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূলের
জানা গিয়েছে, ধৃত জেসিবি চালকের নাম আজগার আলি। অভিযোগ এই জেসিবিতে করেই মাটির তুলে হাইড্রেন গভীর করা হচ্ছিল। অভিযুক্ত চালককে আজ ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি কনাইয়ালাল আগরওয়াল, রাজ্য নেত্রী পম্পা সরকার অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব গ্রামে গিয়ে মৃত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ মৃতদেহ সমাধিস্থ করার হয়। এরপর তৃণমূল নেতৃত্ব ওই এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসেন। এই ঘটনায় প্রথম থেকে বিএসএফের দিকে আঙুল তুলে আসছেন স্থানীয়রা। সেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধায়ক হামিদুর রহমান বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরে তিনি জানান, মৃত চার শিশুর পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে বিএসএফের তরফে যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সে বিষয়ে দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় আগেই একটি ড্রেন ছিল। তবে সেটি গভীর ছিল না। তাই বিএসএফের তরফে ওই ড্রেন খুঁড়ে ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর করা হচ্ছে। জেসিবির সাহায্যে মাটি তুলে তা ট্রাক্টরের সাহায্যে অন্যত্র রাখা হচ্ছিল। কিন্তু, সেই মাটি চাপা পরেই মৃত্যু হয় ৪ শিশুর। সেই ঘটনায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।