এবার রাজ্যের অন্যতম আদিবাসী সাংসদ জন বারলাকে কাজ না করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। নিজেই সেই অভিযোগ করলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। এমনকী জেলাশাসককে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলে আক্রমণ করলেন তিনি। বললেন, লড়াই করে কাজ করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে নিজের সংসদীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ তোলেন আদিবাসী আন্দোলনের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমার টাকা কোথায় যাবে? ডিএম-এর কাছে যাবে। ডিএম যদি না করে তবে? ডিএম তো তৃণমূলের ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট। ডিএম তৃণমূল চাইছে না জন বারলা কাজ করুক। ১৬০টি কাজ হয়েছে। আমাকে ফিতে কাটতে দেয় না। অনেক কাজ হয়েছে। জোর করে করতে হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। আমাদের চেয়ার নেই। একটা ফাটা চেয়ার দিলেই হত, ডিএম তো সব সিলেকশন করে’।
তৃনমূলের সর্বভারতীয় দলের স্বীকৃতি প্রত্যাহার নিয়ে তিনি বলেন, দিদি তো স্বপ্ন দেখছিলেন, পুরো দেশে উনি রাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রী হবেন? ২০০১ বলেন এটা সেমি ফাইনাল। ২০২৪ এ ফাইনাল হবে। তারপরে দিদি প্রধানমন্ত্রী হবেন। উনার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থাকবে কি না এটা সন্দেহ আছে। ওদের এমএল এ মন্ত্রীরা ওকে পদ থেকে সরাবে। এমন দিন আসছে ওদের এমপি মন্ত্রী ওকে সরিয়ে দিচ্ছে। টু ম্যান ডিসিশান।ওরা সব পদ নিয়ে আছে। দিদি - ভাইপো। পদ ডিভাইড করা হচ্ছে না। সব কলকাতা থেকে হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ। সব লুঠ হচ্ছে। আমরা পুরসভা জিতেছিলাম। বাক্স পালটে ওরা জিতেছে। আমরা কী করে থার্ড পজিশনে গেলাম? একটা পুরসভা আমরা জিততে পারব না’?
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়ে জন বারলা বলেন, ‘সেন্ট্রাল ফোর্স ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট হবে না। পুলিশ ছাপ্পা ভোট করবে। পাবলিক ভয় পাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গ্রামে আতঙ্ক ছড়বে । লাশ বের হবে, এরকম পরিস্থিতি হবে’।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বিশ্বাস করছে না ওদের। মোদীকে দেখার জন্য যাচ্ছে। ডিএম চার বছরে ডাকেননি। এরকম দিন আসবে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার লোক থাকবে না। মানুষ বিরক্ত, পুলিশকে দিয়ে রাজনীতি হচ্ছে’।