রাজ্যে তাঁর দলের সরকার। তিনি সেই দলের বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্য। তার পরও যে কোনও সময় খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করলেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। মঙ্গলবার এক প্রকাশ্য সভায় সেকথা বলেন তিনি। শাসকদলের নেতারই যেখানে প্রাণের নিশ্চয়তা নেই, সেখানে কি প্রশাসন বলে কিছু অবশিষ্ট রয়েছে? প্রশ্ন করছেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার বোলপুরে কঙ্কালীতলা এলাকায় কর্মিসভায় যোগ দিয়ে কাজল শেখ বলেন, ‘বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমার মা মাথায় তিনটে চুমা দেয় এবং ঠাকুরের কাছে দোয়া করে যাতে আমি বাড়ি ফিরে আসি। কারণ আমার ঘরে শত্রু বাইরে শত্রু। আমি জানি যে কোন মুহূর্তে আমার প্রাণের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত কাজল শেখ। অনুব্রতর দাপটে দীর্ঘদিন দলে কার্যত একঘরে হয়ে ছিলেন তিনি। তবে কেষ্ট জেলে যেতে ক্রমশ প্রতিপত্তি বেড়েছে তাঁর। সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে দলের নতুন জেলা কোর কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে ঠাঁই হয় কাজল শেখের। সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী জানান, এবার থেকে বীরভূমের সংগঠন দেখভাল করবেন তিনি নিজে।
বিরোধীদের প্রশ্ন, জেলায় সংগঠনের দয়িত্বে দলনেত্রী নিজে। রাজ্যেও তৃণমূলের সরকার। তার পর শাসকদলের জেলা কোর কমিটির সদস্য প্রকাশ্য সভায় প্রাণের আশঙ্কা প্রকাশ করলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
সম্প্রতি বীরভূমে দলের জেলা কোর কমিটির বৈঠক শেষ মুহূর্তে বাতিল হওয়ার পর কাজল শেখ অভিযোগ করেন, জেলে বসে বিকাশ রায়চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখেন অনুব্রত মণ্ডল।