পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট। বিজেপিও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জোরকদমে। তবে সমস্ত পুরসভাগুলোতে একসঙ্গে ভোট না করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা বরাবরই করে আসছিল বিজেপি।
বিজেপির একাধিক নেতা এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এবার পুরসভার ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর দাবি তুলল বিজেপি। শনিবার মেদিনীপুরের এক সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ' আমরা চাই, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করানো হোক। ' তিনি মনে করেন, ' বাংলায় একেবারেই আইন-শৃঙ্খলা নেই।' পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। সেই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, এদিনের সভায় একসঙ্গে সমস্ত পুরসভায় ভোট না করা নিয়েও তৃণমূলকে বিঁধেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি বলেন,' এর আগে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত সমস্ত ভোটই একসঙ্গে হয়েছে। তাহলে পুরসভার ভোট একসঙ্গে কেন করানো হচ্ছে না?' দিলীপের কথায়, 'আসলে তৃণমূল চায় ভোটে লুঠপাট চালাতে। একসঙ্গে ভোট হলে লুঠপাট চালানো সম্ভব হবে না। সেই ভয় থেকেই একসঙ্গে পুরভোট না করিয়ে শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভার ভোট করানো হচ্ছে'। তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র একটি পুরসভায় ভোট করিয়ে অন্য পুরসভার মানুষ সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।'
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে ত্রিপুরাকে দেখে শেখা উচিত বলে মনে করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, 'ত্রিপুরা যেটা করে দেখিয়েছে তা দেখে বাংলা কী শেখা উচিত? কোনও মানুষ যাতে অভিযোগ করতে না পারেন, তার জন্য আগে থেকেই পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছিল ত্রিপুরা। তাই পশ্চিমবঙ্গেও পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীদের দিয়ে করানো উচিত।' যে ভোট ঘিরে হিংসার অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, গতকালই পুরভোটের জন্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল এবং বামফ্রন্ট। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির প্রার্থী তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে এদিন ইঙ্গিত দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য নেতৃত্ব।' সঠিক সময় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় মহিলাদের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের রাখা হবে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।