আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা আরাধনা করা হয়। আজই সেই দিন। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এবছরের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তিথি পড়েছে ২২ আশ্বিন, ১৪২৯। শনিবার ভোররাত ৩টে ২৯ মিনিট ৪২ সেকেন্ড থেকে পূর্ণিমা শুরু হয়েছে। রবিবার রাতে রাত ২টো ২৫ মিনিট ৫ সেকেন্ডে পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে। কথিত আছে, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবী লক্ষ্মী। এই কারণে বলা হয় এই শরৎ পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো সন্ধ্যার সময় করাই শুভ।
বাংলার কৃষি সমাজের সঙ্গে সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। পুজোর উপকরণ আর আচার, অনুষ্ঠানে তা স্পষ্ট। লক্ষ্মীর পাঁচালি ছাড়া যেমন দেবীর পুজো হয় না। তেমনই পুজোয় ফলমূলের সঙ্গে চিঁড়ে ও নারকেল প্রয়োজন। তাছাড়া আলপনায় থাকতে হবে ঝাঁপির ছবি। লক্ষ্মীর পটচিত্রেও শস্যের ছবি থাকে। আশ্বিন পূর্ণিমা ছাড়াও শস্য সম্পদের দেবীকে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি এবং দীপাবলীতে পুজো করা হয়।
উল্লেখ্য, শরৎকালের লক্ষ্মীপুজো কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো নামে খ্যাত। এই পুজোয় রাত জাগার নিয়ম রয়েছে। 'কঃ' শব্দের অর্থ হল কে, আর 'জাগর' শব্দের অর্থ হল জেগে আছে। অর্থাৎ 'কে জেগে আছে'? মনে করা হয় যে, লক্ষ্মীপুজোর দিন রাত পর্যন্ত জাগলে সেই বাড়িতে লক্ষ্মীদেবী প্রবেশ করেন। যাঁরা তাঁকে রাত পর্যন্ত জেগে আরাধনা করেন, দেবী তাঁদের আশীর্বাদ করেন। মনে করা হয়, এদিন রাতে দেবী স্বর্গ থেকে নেমে আসেন। শাস্ত্র মতে লক্ষ্মীর আসার সময় যে বাড়ির গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে মুখ ফেরান দেবী।