দু’পক্ষই জোটের পক্ষে সওয়াল করেছিল। সেইমতো বিধানসভা নির্বাচনের একসঙ্গে লড়াইয়ের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জট তৈরি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বাম–কংগ্রেস জোটে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ জোটের মুখ হিসেবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নাম ভাসিয়ে দিচ্ছে কংগ্রেসের একাংশ। আবার মালদা, মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় ৮০ শতাংশেরও বেশি আসন চাইছে তারা। কংগ্রেসের এই চাপ বাড়ানোর কৌশলে বেশ অসন্তুষ্ট আলিমুদ্দিন। সুতরাং শেষ পর্যন্ত জোট অব্যাহত থাকবে কিনা তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
সিপিআইএমের পলিটব্যুরো এবং হাইকম্যান্ড বাম–কংগ্রেস জোটের পক্ষে সিলমোহর দিয়েছে। তারপরও সেই জট! মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুরের মতো কয়েকটি জেলায় ৮০ শতাংশের বেশি আসন দাবি করা হচ্ছে। পুরুলিয়ায় ১০০ শতাংশ আসন দাবি করছে কংগ্রেস। চূড়ান্ত আলোচনার আগেই কংগ্রেসের চাপ বাড়ানোর কৌশল বলে মনে করছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।
এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ–মালদহ শক্তিশালী ঘাঁটি। সুতরাং বেশি আসন চাইতেই পারি। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’ বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘এটা নিয়ে যৌথ আলোচনা চলছে। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ নানা ভাবনাচিন্তা করতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে আলোচনা এগোয়। তবে রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদের মতো আসন নিয়ে কংগ্রেস গোঁ ধরায় ভেস্তে যায় জোটপ্রক্রিয়া। নির্বাচনে ভরাডুবির পর আবারও কাছাকাছি আসে দুই শিবির। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আলোচনার টেবিলে বসছে বাম–কংগ্রেস।