কল্যাণী পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মদ ফ্যাক্টরিতে আয়কর হানা দেয় সোমবার রাতে। আজ, মঙ্গলবার এখনও পর্যন্ত আয়কর তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর। আজ যখন শ্রমিকরা কাজে ঢুকতে যান তাঁদেরকে কোম্পানির পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং তাঁরা কাজে ঢুকতে পারছেন না। শ্রমিকদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কোম্পানির শ্রমিকরা গেটের বাইরে আছেন। প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক। ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। সেই সূত্র ধরেই এই রাজ্যের এক মদ কারখানাতে হানা দেয় আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের ৬ জনের একটি দল ‘অ্যালায়েড ব্লেন্ডার্স অ্যান্ড ডিস্টিলার্স লিমিটেড’ নামে কারখানায় হানা দেয়। ওড়িশার মদ কারখানায় নগদ উদ্ধারের সঙ্গে নদিয়ার আয়কর হানার যোগসূত্র আছে বলে খবর।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কারখানা ঘিরে রেখেছে। সূত্রের খবর, এই মদ কারখানার ভিতরে থাকা কর্তাব্যক্তিদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। কারখানার ভিতরে থাকা নথি পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। সেখানে নানা অসঙ্গতি মেলায় কর্তাব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখনও সেই তল্লাশি চলছে। এই মদ কারখানার সঙ্গে ভিন রাজ্যের মদ কারখানা থেকে টাকা উদ্ধারের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন আয়কর দফতর সূত্রে খবর। ২০১৫ সালে কল্যাণীর এই মদের কারখানা তৈরি হয়েছিল। তারপর দু’বছর কাটতেই হাত বদল হয় কারখানার।
অন্যদিকে ওড়িশায় ও ঝাড়খণ্ডে কয়েকদিন আগে হানা দেয় আয়কর দফতর। দু’রাজ্যে আয়কর হানায় রবিবার পর্যন্ত মোট ৩৫৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তেমনটাই জানা যায় আয়কর দফতর সূত্রে। দেশে এই ঘটনার আগে কোনও আয়কর হানায় একসঙ্গে এত কালো টাকা উদ্ধার হয়নি। এখানেই তদন্ত করতে গিয়ে নানা তথ্য উঠে আসে আয়কর দফতরের হাতে। সেগুলি পরীক্ষা করেই কল্যাণীর মদের কারখানার কথা উঠে আসে। এখান থেকে কি উঠে আসবে সেটা এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হবে না’, শিলিগুড়ি থেকে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এছাড়া আয়কর দফতর হানা দেওয়ায় চাপে পড়ে যায় এই মদ কারখানায় ক্ষমতাসীন মালিকপক্ষ। তাঁরা নথি সরিয়ে দিতেও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু আয়কর দফতরের তদন্তকারীরা সব খুঁজে বের করেন। সেখান থেকেই নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। যার জবাব দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কারখানার কর্তারা। তবে এখানের আয়–ব্যয়ের খতিয়ানে বেশ গড়মিল আছে বলে মনে করছেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। যার জবাব সব পাননি বলেই সূত্রের খবর।