গার্লস স্কুলের পাশেই একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মধুচক্র। তাতে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু তারপরেও বন্ধ হয়নি। এই অসামাজিক কাজ দীর্ঘদিন চলার ফলে এলাকার সভ্য পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এরকমই অভিযোগ তুলে এক মহিলার বাড়িতে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের সৎসঙ্গ কলোনী এলাকায়। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, ওই মহিলার ব্যাগ থেকে গুচ্চগুচ্ছ কন্ডোমের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: মধুচক্রের আসর থেকে ধরা পড়ল তৃণমূল নেতা, নদিয়ার লজ থেকে পাকড়াও করেও ছাড়ল পুলিশ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ওই মহিলার বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মহিলাকে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। তাদের অভিযোগ, ওই বাড়িতে বহিরাগত মহিলা এবং পুরুষদের আনাগোনা বেড়েই যাচ্ছিল। তাতে বেশ কয়েকবার আপত্তি জানিয়েছেন তারা। কিন্তু তারপরেও এই কাজ বন্ধ হয়নি। এদিন তাই নিয়ে ক্ষোভ ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বুধবার দুপুরে বহিরাগত কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা ওই বাড়িতে ঢুকতেই স্থানীয়রা একজোট হয়ে সেখানে ভাঙচুর চালান এবং মারধর করেন। স্থানীয়রা ওই বাড়ির মহিলাকে আটকে রেখে পুলিশের খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। স্থানীয়দের দাবি, সেই সময় বাড়িতে আরও বেশ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা ছিল। তবে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। যার ফলে সেখানে অচেনা মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। এর আগেও অনেকবার এই কাজ বন্ধ করার জন্য ওই মহিলাকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এমনকী স্কুলের বাচ্চাদেরও ওই বাড়িতে দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই মহিলার ব্যাগ থেকে এর আগে প্রচুর কন্ডোমের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তাদের বক্তব্য, এই অসামাজিক কাজের ফলে গ্রামের সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। তাই প্রতিবাদ করতেই তারা ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালান।
যদিও এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। তিনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় আচমকা গ্রামবাসীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মহিলার দাবি, তিনি কোনও অসামাজিক কাজকর্ম অথবা অপরাধ মূলক কাজকর্ম করেননি। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, টোটো থেকে নামতেই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁর উপর চড়া হন। যদিও মহিলার দাবি ঠিক কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।