বেসরকারি লজে বসত মধুচক্র। গৃহবধূ থেকে যুবতীদের এখানে ছিল দেদার কারবার। নীলাভ আলো, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর এবং হালকা মিউজিকে রোমঞ্চকর পরিবেশ তৈরি থাকত। রেড কার্পেট থেকে নষ্ট রাত এখানে ধরা দিত। বহু তাবড় লোকজনের এখানে ছিল আনাগোনা। কিন্তু সবটাই চলত খুব গোপনে। এবার সেই মধুচক্রের আসর থেকে গৃহবধূ–যুবতী সহ হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত প্রভাব খসে পড়ল তাঁর। কারণ একটি কথা শুনতে রাজি হল না পুলিশ। তাই তাঁকে অপ্রকৃতস্থ অবস্থাতেই গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে পরে ছেড়েও দিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? গোপন সূত্রের খবর পেয়ে এই বেসরকারি লজে হানা দেয় পুলিশ। আর সেখান থেকে বেশ কয়েকজন গৃহবধূ–যুবতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সরে পড়তে গিয়েছিল ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু পুলিশের চোখ এড়ায়নি। তাঁকেও ওখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, নদিয়ার শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুর এলাকার একটি বেসরকারি লজে বহুদিন ধরেই মধুচক্রের আসর বসত। এবার গোপন সেই সূত্র ধরেই আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই লজে হানা দেয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। তখনই সব ফাঁস হয়ে যায়। কিন্তু থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
তারপর ঠিক কী ঘটল? পুলিশ যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছয় তখন ওই তৃণমূল নেতা এক যুবতীর সঙ্গে বিছানাতেই ছিলেন। সেটা দেখতে পান পুলিশ অফিসাররা। হাওয়া খারাপ বুঝেই সব ছেড়ে ওখান থেকে সরে পড়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাঁদের থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অসিত ঘোষ শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। দাপুটে তৃণমূল নেতাকে এভাবে বাগে পাওয়া যাবে তা ভাবতেও পারেননি পুলিশ অফিসাররা। এই বিষয়টি নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘এতে দলের ক্ষতি হবে না’, দিলীপের পদচ্যুত হওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী জবাব সুকান্তর
ঠিক কী বলছে বিজেপি? আর হাতে অস্ত্র পেয়ে তা ব্যবহার করতে শুরু করেছে বিজেপি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নদিয়া দক্ষিণের বিজেপি সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, ‘গোটা বাংলার পরিবেশকে নষ্ট করছে রাজ্যের শাসকদল। চোলাই মদের ঠেক থেকে শুরু করে প্রশাসনের নজরদারিতে রমরমিয়ে চলছে দেহব্যবসা। বাংলার যে সংস্কৃতি কৃষ্টি সব পথে নামিয়ে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের এটাই কালচার। অবিলম্বে গোটা সমাজের মানুষকে এই সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতে হবে। না হলে গোটা রাজ্যটাই ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে।’ এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তৃণমূলের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।