আজ, শনিবার ঘোষণা করে দেওয়া হল লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। সুতরাং সবার আগ্রহের জায়গাটি তৈরি হয়েছে মেদিনীপুরে কবে ভোট হচ্ছে? সে তথ্যও জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁর ডান দিকে বসেছেন জ্ঞানেশ কুমার। বাঁ–দিকে সুখবীর সিং সান্ধু। এখন নজরে লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুর। এখানে ভোট হবে—২৫ মে।
এই লোকসভা কেন্দ্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে একসময় কংগ্রেসের গড় ছিল। চাচা বলে পরিচিত জ্ঞানসিং সোহম পাল জিততেন। এখন সেসব অতীত। এখানের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের জুন মালিয়া। আর সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। এখানে দু’জনেই কাজ করেছেন। তবে তফাৎ আছে বিস্তর। কারণ মানুষের ন্যুনতম চাহিদা মিটিয়েছেন বিধায়ক জুন মালিয়া। আর রেলের প্রকল্প নিয়ে এসে কাজ করেছেন দিলীপ ঘোষ। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের কাজের নিরিখে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর বাকি দুই দলের কোনও কাজ নেই বললেই চলে। এখানে সিপিএম বা কংগ্রেসকে সেভাবে দেখা যায় না। তবে পার্টি অফিস আছে।
আরও পড়ুন: উত্তর–দক্ষিণ কলকাতার ভোট কবে? তারিখ–সহ রাজনৈতিক সমীকরণ জেনে নিন
এবার এই মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন জুন মালিয়া। বিধায়ক থেকে তিনি সাংসদ হওয়ার দৌড়ে আছেন। বিজেপি এখনও এই কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা করেনি। তবে বামফ্রন্ট মনোনীত করেছে সিপিআই প্রার্থীকে। বামেদের প্রার্থীর নাম বিপ্লব ভট্ট। এখানে বামেদের সংগঠন আর শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড়িয়ে নেই। বরং বিজেপির তার থেকে ভাল অবস্থা রয়েছে। আর সংগঠন মজবুত রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এখানে এখন প্রার্থী না হয়েও প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখানে সারা বছর দেখতে পাওয়া যায় জুন মালিয়াকে। অভিনেত্রী হলেও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে জুনকে। এখানের বাড়ি বাড়ি যাওয়া, মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া এবং বছরভর নানা কর্মসূচি এখানে পালন করেন জুন মালিয়া। তাই আলাদা করে প্রচার করার প্রয়োজন নেই বলে স্থানীয়রা মনে করেন। তারপরও তাঁকে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে মেদিনীপুরের গ্রাম থেকে শহরে। জুন মালিয়ার কাছে এবার নতুন চ্যালেঞ্জ। কারণ বিপক্ষে যদি দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হন তাহলে সেটা হেভিওয়েট হবে। এখানে বারবার তিনি সাংসদ হয়েছেন। জুন মালিয়া কাজের খতিয়ান নিয়েই প্রচার করছেন। তিনি কি কি কাজ করেছেন তা মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। তবে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে