সোমবার দেখা করার ডাক এসেছে সিআইডি’র পক্ষ থেকে। ডাক পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীকে ভবানী ভবনে তলব করেছে সিআইডি। আর রবিবার শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে পরোক্ষে রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে তমলুকে এক অনুষ্ঠানে রবিবার শুভেন্দু বলেন, ‘এখানে ক্ষুদিরাম বসু পড়াশুনো করেছে। এটা রত্নগর্ভার জেলা। এই জেলার শিক্ষক–শিক্ষিকা আপনারা। ভয় পাবেন না। মাথা নীচু করবেন না। আমাকে রোজ ভয় দেখায়। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কোনও পিছুটান নেই। আমি অকৃতদার। খালি আমার বাবা–মা যাতে সুস্থ থাকে সেই দিকে নজর রাখতে হয়। কিছু করতে পারবে না। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই।’
এদিকে সিআইডি সূত্রে খবর, বিরোধী দলনেতাকে সোমবার সকালেই ভবানী ভবনে ডাকা হয়েছে। তাঁর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে ৪৩ পাতার প্রশ্নপত্র। এমনকী জিজ্ঞাসাবাদ করবেন পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল। আর তাঁদের হাতে রয়েছে গোপন রেকর্ডিং। যা দিয়ে গোপন তথ্য বের করতে সহজ হবে। শুভেন্দুর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক শম্ভু মাইতিকেও ডাকা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এটাই সিআইডি’র প্রথম তলব। ২০১৩ সালে ১৩ অক্টোবর কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লাগে শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। পরদিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার আড়াই বছর পরে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা। এখন তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়।