পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে মহাগুরুকে ময়দানে নামিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের অঙ্ক মেলাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে এবার বিজেপি এবং মিঠুনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বীরভূমের এক জনসভা থেকে নাম না করে মিঠুনকে খোঁচা দিয়ে মহুয়া বলেন, ‘জলঢোঁড়া শীতঘুমে চলে যাবে।’ পাশাপাশি শুভেন্দুকে ‘মহা চোর’ এবং বিজেপিকে ‘খেঁকশিয়াল’ বলে আখ্যা দেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
মহুয়া এদিন বলেন, ‘বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করুন। মহারাষ্ট্র, বিহার এমনকি গুজরাটেও বিজেপির আর দম নেই। ভোটের আগে রাম-সীতার ঘোল খেয়ে ভোট দেবেন না। বিজেপিকে দেশছাড়া করব।’ মহুয়া আরও বলেন, ‘বিজেপি খেঁকশিয়াল। লেজ গুটিয়ে পালায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বাঘিনী। ২০২১ সালে বিজেপি লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল, আগামী ভোটেও বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।’ তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন দলের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পঞ্চায়েতের পর লোকসভা ভোট। যে ভোটে বিজেপিকে দেশ ছাড়া করা যাবে।’
এদিকে কয়েকদিন আগেই বীরভূমে বিজেপির হয়ে প্রচারে এসেছিলেন মিঠুন। সেই ‘মহাগুরু’কে আক্রমণ শানিয়ে মহুয়া বলেন, ‘শীতঘুমে চলে যাবে জলঢোঁড়া। আর যদি মাথা তোলে তাহলে বাড়িতে লঙ্কাপোড়ার ঝাঁজ দেবেন। তাতেই সাপ পালাবে।’ এদিকে বিজেপির ‘ডিসেম্বর ডাক’ নিয়েও পালটা তোপ দাগেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, ‘মহাচোর শুভেন্দু অধিকারীকে জেলে যেতে হবে। অসমে হিমন্ত বিশ্বকর্মা পাঁচ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় নারদা থেকে শুভেন্দু পাঁচ কোটি টাকা নিয়েছেন। তাই তিনি বিরোধী দলনেতা। ওদের প্যাকেজ যে যেমন দেবে, তেমন পদ পাবে।’ উল্লেখ্য, এর আগে শুভেন্দুসহ একাধিক বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ডিসেম্বরে মহাচোর ধরা পড়বে।’ আবার কখনও কখনও গেরুয়া শিবিরের তরফে ইঙ্গিত করা হয়েছিল যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার পড়ে যাবে ডিসেম্বরে। এই আবহে এবার পালটা শুভেন্দুর ‘জেল যাত্রা’র পূর্বাভাস দিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।