একটি ভিডিয়োকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদহে। অনেকে বলছেন ভিডিয়োটি মাস দুয়েকের পুরানো ভিডিয়ো। সেখানে মূলত দুজনকে দেখা গিয়েছিল। একজন হলেন মালদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। আর তার কলার ধরে এক যুবক টাকা চাইছেন বলে খবর। তিনি নাকি চাকরিপ্রার্থী। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এদিকে এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই দলের অন্দরে চরম অস্বস্তি।
এদিকে এই স্বপন মিশ্র আবার প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। কিন্তু তৃণমূলের একাংশের মতে, গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই স্বপন মিশ্রকে বিশেষ দেখা যায় না। তিনি কোথায় তা নিয়ে অনেকের কাছেই কোনও খোঁজ নেই। আবার তিনি টাকা নিয়ে ফেরৎ দেননি বলেও অভিযোগ। কিন্তু কে এই স্বপন মিশ্র?
সূত্রের খবর, মালদহের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা স্বপন মিশ্র। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্বপন মিশ্র জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। পেশায় স্কুলের শিক্ষক। তবে গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই তিনি বেপাত্তা বলে খবর। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এখন সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তৃণমূল টাকা তুলেছে। সেই টাকা এবার ফেরৎ চাইছেন সাধারণ কর্মপ্রার্থীরা।
মালদহে কান পাতলেই শোনা যায় স্বপন মিশ্র নানা প্রলোভন দেখিয়ে লোকজনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে। কিন্তু সেই টাকা ফেরৎ দেওয়ার নাম নেই। ওই ভিডিয়োতে দেখা যায় চেয়ারে মাথা নীচু করে বসে আছেন এক ব্যক্তি। তাকে স্বপন মিশ্র বলে দাবি করছেন অনেকে। আর অপর এক ব্যক্তি গলা চড়িয়ে বলছেন, কবে টাকা ফেরৎ দিবি?
আর চেয়ারে বসে থাকা ব্যক্তি বলছেন, আর কিছুদিন সময় দিলেই তিনি টাকা ফেরৎ দেবেন। কিন্তু কেন তিনি টাকা নিয়েছিলেন? এত টাকা তাঁর কীসের প্রয়োজন? এসব প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। বিরোধীদের প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন স্বপন। এখন রাজ্য জুড়ে এনিয়ে তদন্ত শুরু হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি।