নারী দিবসের পরের সকালে নারী নির্যাতেনর বীভৎস খবর এল মালদা থেকে। অন্তঃসত্ত্বা বধূর গায়ে ফুটন্ত জল ঢেলে দিলেন স্বামী। আহত বধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী দুলাল সাহা পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
৪ বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের ইসলামপুর গ্রামের দুলাল সাহার সঙ্গে টুম্পা সাহার বিয়ে হয়। দম্পতির ২টি পুত্রসন্তান রয়েছে। টুম্পাদেবী জানান, সকালে উনুনে আলু সিদ্ধ হচ্ছিল। পাশে ২ ছেলেকে নিয়ে বসে মটরশুঁটি ছাড়াচ্ছিলাম। তখন আলু সিদ্ধর গরম জল স্বামী আমার গায়ে ঢেলে দেন। আর্তনাদ করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তাঁরাই আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।
আক্রান্ত বধূর বাপের বাড়ি বিহারে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে নানা অছিলায় টুম্পার ওপর অত্যাচার করত তাঁর স্বামী - শাশুড়ি। বারবার বুঝিয়েও কাজ হয়নি। বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। তার পরও তাঁর ওপর এই ধরণের প্রাণঘাতী আক্রমণ হয়েছে। এই ঘটনায় দুলাল সাহার বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত বধূর পরিবার।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত বধূর বয়ানের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতালে শুয়ে টুম্পাদেবী বলেন, ‘এরকম অমানুষের ঘর আর করব না।’