আমের মরশুম একেবারে শেষলগ্নে। আর শেষবেলায় বড় বরাত পেলেন মালদার আম ব্যবসায়ীরা। এক দুই কুইন্টাল নয়। একেবারে ৩৫০ কুইন্টাল আম পাঠানোর বরাত পেয়েছেন মালদার আম ব্যবসায়ীরা। পুরাতন মালদার রায়পুর বাগান এলাকা থেকে এই বিপুল আম পাড়ি দেবে মুম্বইতে। কিন্তু এগুলি সবই কাঁচা আম। তবে কাঁচা আম মুম্বইতে নিয়ে গিয়ে কী হবে?
বর্তমান সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, এই আম থেকে আচার তৈরি হয়। সেকারণেই এই আমের বরাত মিলেছে। সূত্রের খবর, আসলে আমের মরশুম শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বছরভর আমের চাহিদা থাকে। সেই সঙ্গেই থাকে আমের আচারের চাহিদা। সেই আমের আচার তৈরির জন্য এই আম পাঠানো হচ্ছে মুম্বইতে।
মোটামুটি আম কেটে নুন মাখিয়ে প্রসেসিং করা হয়। এরপর অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ সেই আম রওনা দেবে মুম্বইয়ের দিকে। এদিক এই শেষ বেলায় এই বিপুল পরিমাণ বরাত পেয়ে অত্যন্ত খুশি স্থানীয়রা। কারণ এবার আমের উৎপাদন ভালো হলেও দাম সেভাবে মেলেনি। এমন একটা সময় এসেছিল ৫টাকা -৬টাকা কেজিতেও আম মিলেছে। একেবারে ঢেলে বিক্রি হয়েছে আম। তবে শেষ বেলায় যে আম মুম্বইতে যাচ্ছে । তবে এতেও যে বিরাট লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরা এমনটা নয়। তবুও শেষবেলায় যেটুকু লক্ষ্মীলাভ হয় সেটাই ভালো। এগুলি আশ্বিনা জাতের আম বলে পরিচিত। সেই আমেরই বরাত মিলেছে।
এই আম স্থানীয় আম চাষিদের কাছ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে। এরপর মূলত স্থানীয় মহিলারা সেগুলি কাটছেন। এরপর ধুয়ে , নুন মাখিয়ে তা পাড়ি দেবে মুম্বইতে। তবে শেষবেলায় এই আম কাটাকুটি করে স্থানীয় মহিলাদের অবশ্য কিছুটা লাভ হচ্ছে। বছরভর অনেকেরই আয়ের সুযোগ থাকে না। আম চাষ, আমের ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই কিছুটা লাভের মুখ দেখেন তারা। সামনের বার কতটা লাভ হবে সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্য়েই । তবে মরশুমের একেবারে শেষ লগ্নে অবশ্য কিছুটা আশার মুখ দেখলেন তাঁরা।