আবারও কি কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে তৈরি হচ্ছে সংঘাত? ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের আগে তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে জানানো হয়েছে যে বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে মমতা যাবেন না। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের সূচিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার জন্য শুক্রবার দুপুরে কলাইকুন্ডায় বৈঠক হওয়ার কথা আছে মোদী এবং মমতার। প্রাথমিকভাবে বৈঠকে শুধু মোদী এবং মমতার থাকার কথা ছিল। পরে রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে নবান্নকে জানানো হয়, বৈঠকে থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ধনখড় এবং দেবশ্রীর নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি মমতা। কিন্তু শুভেন্দু কোন যুক্তিতে থাকবেন, তা নিয়েই বেঁকে বসেন মমতা। পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক বৈঠকে পরিণত করার জন্যই শুভেন্দুকে ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন মমতা। সে বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে জানানো হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দুকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু তা তো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তাহলে কোন যুক্তিতে শুভেন্দুকে ডাকা হল? পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিধায়ক হিসেবে যদি শুভেন্দুকে ডাকা হয়, তাহলে জেলার বাকি বিধায়কদের কেন বৈঠকে ডাকা হবে না কেন? সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী মোদীর বৈঠকে নাও যেতে পারেন। পরিবর্তে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যেতে পারেন বলে একটি অংশের তরফে দাবি করা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের সেই যুক্তির মধ্যেই একটি চিঠি (সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) ছড়িয়ে পড়েছে। সেই চিঠি অনুযায়ী, গত ১৩ মে থেকে শুভেন্দুকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যা ১৯ মে বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে পাঠানো হয়েছে। যদিও প্রশ্ন উঠছে, আচমকা সেই চিঠি এতদিন পর প্রকাশ্যে আনা হল কেন? সে বিষয়ে বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উত্তর মেলেনি শুভেন্দু। তবে একটি অংশের দাবি, তিনি নাকি ইতিমধ্যে কলাইকুন্ডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।