স্বাস্থ্যকর্তা পরিচয় দিয়ে করোনা রোগীকে হাসপাতালে শয্যা পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। চক্রের চাঁইকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা।
স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক পরিচয়ে করোনা রোগীদের শয্যা পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছিল অভিযুক্ত। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালির বটতলা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম শেখ নাসিরউদ্দিন ওরফে নাসির। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রতারণার ধারা ছাড়াও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে।আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি পোস্তা থানার শিবতলা স্ট্রিটের করোনা রোগীর সহায্যকারী এক ব্যক্তিকে নাসির ফোন করলে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি পোস্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তের ভার যায় লালবাজারের হাতে। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
কীভাবে ওই যুবক প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল? এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এখন অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আত্মীয় কিংবা চেনা পরিচিতদের জন্য অক্সিজেন অথবা রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করাতে সাহায্য চেয়ে পোস্ট করছেন। এই পোস্টগুলোই টার্গেট করত নাসির। যাঁরা আবেদন জানাতেন, তাঁদের মেসেঞ্জারে গিয়ে প্রথমে ফোন নম্বর চেয়ে নিত সে। তারপর সাহায্যকারী অথবা করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যকে ফোন করে নিজেকে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিত। সে তাঁদের জানাত যে, তার কাছে সরকারি হাসপাতালের শয্যার সন্ধান রয়েছে, রোগীকে ভরতি করিয়ে দিতে পারবে সে। এতে যদি রোগীর পরিজনের রাজি হয়ে যেতেন, সেক্ষেত্রে সেখানেই মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত নাসির।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, রোগীদের পরিবারের কাছ থেকে অনলাইন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা চেয়ে নিত নাসির। আবার কখনও সামনা সামনি দেখা করে হাতে হাতেও টাকা নিত সে। তার পর রোগীর আত্মীয়দের বিভিন্ন অছিলায় দিনের পর দিন ঘুরিয়ে দিত।পুলিশের দাবি, রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করিয়ে দেওয়ার কোনও ক্ষমতাই ছিল না তার। শুধু তাই নয়, নাসিরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে, অক্সিজেন কিংবা ওষুধ সরবরাহ করার নামেও বিভিন্ন রোগীর কাছ থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করত।