মিড ডে মিলে খরচের হিসেব নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতি এবং প্রধান শিক্ষকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। তার জেরে বন্ধ হয়ে গেল একটি স্কুলের পড়ুয়াদের মিড ডে মিল। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের করিমপুরের হোগলবেড়িয়া আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে ঘটেছে। এই অভিযোগ ওঠার পরেই সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে বলে জেলা স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলের টাকা অন্য খাতে খরচ করার ফল? বাঁকুড়ায় ৩৬০ অঙ্গনওয়াড়িতে বন্ধ রান্না
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত প্রধান শিক্ষক গিরেন্দ্রনাথ দাসের সঙ্গে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সনৎ সরকারের দ্বন্দ্ব চলছে। স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ মাঝেমধ্যেই ওই স্কুলে মিড ডে মিল বন্ধ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে পড়ুয়ারা পুষ্টিকর খাবারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এর জন্য স্কুল পরিচালন সমিতিকে দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মিড ডে মিলের বরাদ্দের জন্য যে টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে থাকে সেই চেক বইয়ে পরিচালন কমিটির সমিতির সভাপতি সই করছেন না। যার ফলে টাকা পেতে অসুবিধা হচ্ছে এবং মিড ডে মিল বন্ধ রাখা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের দাবি, টাকা না পেয়ে এর আগে তিনি নিজেই টাকা জোগাড় করে বেশ কয়েকদিন ধরে মিড ডে মিল চালিয়েছেন। কিন্তু, এখন তাঁর পক্ষে আর মিড ডে মিল চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যদিও এ বিষয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতি পালটা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, এর আগে প্রধান শিক্ষককে মিড ডে মিলের জন্য ফান্ডে যে টাকা পাঠানো হয়েছিল সেই টাকার হিসেব উনি দিচ্ছেন না। এর আগে তাঁর কাছে খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই হিসাব তিনি দিতে পারছেন না। সেই কারণে চেক বইয়ে সই করা হয়নি। যদিও প্রধান শিক্ষকের পালটা দাবি, একজন প্রধান শিক্ষকের কাছে এভাবে তিনি হিসাব চাইতে পারেন না। প্রয়োজনে তিনি স্কুলে এসে ক্লার্কের কাছ থেকে দেখে যেতে পারেন, কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে।
অন্যদিকে এই বিষয়ে করিমপুর ১ নম্বর ব্লকের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক বদিউরজ্জামান জানা, স্কুলের সমস্যার কথা তিনি শুনেছেন। বিষয়টি জানার জন্য তিনি স্কুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সে সময় প্রধান শিক্ষক স্কুলে ছিলেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন।