চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ৮ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে মানিকচক থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ তার ভিত্তিতে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতা নাবালিকাকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এখন নির্যাতিতা শিশু সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ বছরের ওই নির্যাতিতা স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া।তার বাবা শিলিগুড়ির একটি কারখানায় কর্মরত রয়েছেন। স্থানীয় এক গ্রামবাসী বলেন, ‘ চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ওই শিক্ষক শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর তাকে ধর্ষণ করেছে। ওর তুতো বোন তা দেখে নিয়েছিল বলেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি৷’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিনে বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে খেলতে গিয়েছিল শিশুটি। আমবাগানটি অভিযুক্ত ওই শিক্ষকেরই। বাগানের পাশেই তার বাড়ি।অভিযোগ উঠেছে, এদিন ওই শিক্ষক বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ওই শিশুটিকে চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখায়। তার পর ওই শিশুটিকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ঘটনার সময় শিশুর এক দিদি তাকে আমবাগানে খুঁজতে আসে। তখনই সে শিক্ষকের বাড়ির জানলা দিয়ে গোটা ঘটনাটি দেখে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ফিরে শিশুটির পরিবারকে সব জানিয়ে দেয় ওই কিশোরী। ঘটনার পর শিশুটির মা ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিচার চাইতে গেলে, অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবার তাতে আমল দেয়নি বলে অভিযোগ।
এর পরেই ওই শিশুর মা থানায় গিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরার হয়ে গিয়েছে। পুলিশ ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।