দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে মঙ্গলাহাট আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। আর হাতে দু’মাস বাকি তার পরই রাজ্যজুড়ে পালিত হবে দুর্গোৎসব। তাই ব্যবসায়ীরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কবে চালু হবে মঙ্গলাহাট? সম্প্রতি সেখানে ঘুরে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। এবার পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, আগামী সোমবারই খুলতে চলেছে মঙ্গলাহাট। আজ, সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করে ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে এমনই ঘোষণা করলেন মন্ত্রী।
এদিকে গত ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার মাঝরাতে হাওড়ার মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুনের সেই লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ৫ হাজার বর্গফুট এলাকার দোকানপাট। দুর্গাপুজোর আগে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কার্যত কপালে ভাঁজ পড়েছে ব্যবসায়ীদের। তাঁদের দাবি ছিল, দ্রুত মঙ্গলাহাট খোলার ব্যবস্থা করা হোক। আজ সকাল পর্যন্ত সরানো হয়নি মঙ্গলাহাটের পোড়া জঞ্জাল। ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় ব্যবসায়ী সমিতি। জঞ্জাল সাফ করতে দু’সপ্তাহ সময় লাগবে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নেন ফিরহাদ হাকিম এবং জানান আগামী সোমবার থেকে খুলে যাবে মঙ্গলাহাট।
অন্যদিকে আজ ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, মনোজ তিওয়ারি, হাওড়া পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী–সহ কয়েকজন পোড়াহাট পরিদর্শনে যান। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের সমস্যার কথা বলতে থাকেন। তাঁদের একটাই দাবি, দ্রুত খোলা হোক মঙ্গলাহাট। একুশে জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মঙ্গলাহাট পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেই কমিটি কাজও করে। মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের দাবি, হাটের যে অংশ পুড়ে যায়নি সেখানে তাদের ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি।
আরও পড়ুন: সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ইস্তফা দিলেন, পদত্যাগের নেপথ্য কারণ কী?
ঠিক কী বলেছেন পুরমন্ত্রী? মঙ্গলাহাটের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে চিন্তিত সে কথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়েছিলেন। তারপরই এই পরিদর্শন বলে সূত্রের খবর। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এই হাটের জমি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের স্বার্থে তা দ্রুত চালু করার দায়িত্ব নিতে হবে মালিককে। যদি তা না করা হয় তাহলে জমি অধিগ্রহণ করবে সরকার। আর ব্যবসায়ীদের স্বার্থে হাট চালুর ব্যবস্থা করবে। আমরা ১৫ দিন সময় দিলাম। সবটা পরিষ্কার করে দিতে হবে। বৃষ্টির সময় ত্রিপল টাঙিয়ে নেবেন। তবে মালিক কিছু না করলে আমরা এটা অধিগ্রহণ করে ব্যবস্থা করব। ব্যবসায়ীরা অন্যত্র কোথাও যাবেন না। সোমবার থেকেই ধাপে ধাপে হাট চালু করে দেব।’