টলিপাড়ার অন্যতম শক্তিশালী চরিত্রাভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। কেরিয়ারের শুরুতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হাতে এসেছে তাঁর। অভিনয় তাঁর রক্তে। তিনি শুধু নিজে অভিনয় করেন তা নয়, অভিনয় শেখানও। বিগত তিন বছর ধরে নিজের অ্যাক্টিং স্কুলে নতুন মুখেদের অভিনয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, শুধু তাই নয় টলিউডের বহু তারকাকেও নতুন প্রোজেক্ট শুরুর আগে অ্যাক্টিং ওয়ার্কশপ করান। আরও পড়ুন-১৪ ঘন্টা শ্য়ুটিং করে পড়াশোনা, মাধ্যমিকে কত নম্বর পেল ‘রামপ্রসাদ পত্নী’ সুস্মিলি?
বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এসেছে মাধ্যমিকের ফলাফল। এদিন নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী প্রাঞ্জলের ছবি-সহ একটি পোস্ট শেয়ার করে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন অভিনেত্রী, একইসঙ্গে শেয়ার করলেন পেরেন্টিং টিপসও। সুদীপ্তার কাছে প্রথম ভালোবাসা অভিনয়, বিপ্লব কেতন কন্যা স্কুলের গণ্ডি পার করার আগে থেকেই টেলিফিল্মে কাজ করতেন চুটিয়ে। এদিন সুদীপ্তা জানালেন, মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার আগেরদিনও লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের টান থেকে দূরে থাকেননি তিনি।
সুদীপ্তা জানান, ‘আমি তো মাধ্যমিক এর টেস্ট শুরুর আগেরদিন শুটিং করছিলাম আর দিদিমণি দেখে ফেলায় বাবাকে ডেকে বকুনিও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষায় খুব ভালো করেছিলাম, মনে আছে’। সুদীপ্তা অভিনয় কেরিয়ার সামলেই পড়াশোনা চালিয়েছিলেন, তাতে তাঁর মাধ্যমিকের রেজাল্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শিল্প চর্চা কখনো লেখাপড়ার অন্তরায় হতে পারে না, চাইলে দুটো দিকই সামলানো যায়, স্পষ্ট বার্তা অভিনেত্রীর।
এদিন এক জনৈকের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করেছেন সুদীপ্তা, সেই পোস্টটি প্রাঞ্জলের আবৃত্তি গুরুর। সুমন্ত্র সেনগুপ্তের কাছে আবৃত্তির চর্চা করে মাধ্যমিকে দশক স্থানাধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, ‘মাধ্যমিকে টেস্ট পরীক্ষা দিয়েও শঙ্খমালায় ক্লাস করতে এসেছে। ওর মা বাবা ওকে লেখাপড়ার অজুহাতে একদিনের জন্যও ছাড়িয়ে নেননি। আবৃত্তি, সঙ্গীত অথবা যেকোনো শিল্প চর্চা কখনো লেখাপড়ার অন্তরায় হতে পারে না। এই বিষয়টা যে কবে অভিভাবকরা বুঝবেন!’
সুদীপ্তা তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘একদম সঠিক কথা সুমন্ত্র দা। বাবা-মা’রা বুঝলে হয়!!'
এবার মাধ্যমিক দিয়েছিল মোট ৯,১২,৫৯৮ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৪,০৩,৯০০। আর ছাত্রীর সংখ্যা ৫,০৮,৬৯৮ ছিল। এবার মাধ্যমিকে পাশের হার হল ৮৬.৩১ শতাংশ। গতবার সেটা ৮৬.১৫ শতাংশে ঠেকেছিল। অর্থাৎ পাশের হার বেড়েছে ০.১৬ শতাংশ। জেলাভিত্তিক পাশের হারে শীর্ষে আছে কালিম্পং (৯৬.২৬ শতাংশ)। তারপর আছে যথাক্রমে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৫.৪৯ শতাংশ), কলকাতা (৯১.৬২ শতাংশ), পশ্চিম মেদিনীপুরের (৯১.৪১ শতাংশ) মতো জেলা।
এবার মেধাতালিকায় ৫৭ জন পড়ুয়ার নাম আছে। কলকাতা থেকে প্রথম দশের মধ্যে আছে মাত্র একজন। কমলা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সোমদত্তা সামন্ত মেধা তালিকায় দশমস্থানে রয়েছেন, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।