ফেলুদার গল্প পড়ব বা ফ্যান আর জটায়ু বা তোপসেকে পছন্দ নয়, চেনেন না এমনটা হতেই পারে না! ফেলুদা নামটা একটা হলেও আদতে এই নাম শুনলে এই ত্রয়ীকেই বোঝায়। এবার এদিন অর্থাৎ সত্যজিৎ রায়ের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকীতে এক দুর্দান্ত অজানা গল্প প্রকাশ্যে এল এই অস্কারজয়ী পরিচালকের তৈরি করা কালজয়ী চরিত্র লাল মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বা জটায়ুকে নিয়ে। কী বললেন উন্মেষ?
সত্যজিৎ রায়ের চরিত্র নিয়ে কী বললেন উন্মেষ?
উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায় সত্যজিৎ রায়ের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটো ছবি পোস্ট করেন। একটি তাঁর দাদুর। আরেকটি সত্যজিৎ রায়ের। সেই পোস্টেই বাঁকুড়া মিমস পেজের স্রষ্টা তথা বিখ্যাত ইউটিউবার উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায় জানান তাঁর দাদুর নাম ছিল ডক্টর লাল মোহন গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই লাল মোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেই এক দুর্দান্ত মিল রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের অর্থাৎ গল্পের বইয়ের লাল মোহন বা জটায়ুর স্রষ্টার।
উন্মেষ এদিন তাঁর সেই পোস্টে জানান সত্যজিৎ রায় এবং তাঁর দাদুর জন্মদিন একই দিনে। অর্থাৎ ২ মে। তিনি লেখেন, 'আমার দাদু, ডক্টর লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায় আর লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে জটায়ুর স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়! দুজনেরই জন্মদিন ২ মে! এই ম্যাজিক্যাল কোইন্সিডেন্সটা ছোট থেকেই আমায় অবাক করে। একজন আমায় বাঁকুড়াকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন, একজন সিনেমাকে! জন্মদিনে দুজনকেই আমার প্রনাম জানাই। শুভ জন্মদিন দাদাই (২.০৫.১৯২৫-১৫.১২.২০১৮), শুভ জন্মদিন সত্যজিৎ রায় (২.০৫.১৯২১-২৩.০৪.১৯৯২)।' আর এই পোস্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে সত্যজিতের তৈরি করা চরিত্রের নাম দেখে উন্মেষের নাম রাখা হয়নি। বরং উল্টোটা হলেও হতে পারে! আর এই চমকপ্রদ তথ্য পেয়ে অবাক হয়েছেন তাঁর অগুনতি ভক্তরা।
আরও পড়ুন: হাঁসফাঁস গরমে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে বার্তা দিয়েই ট্রোল্ড স্বস্তিকা! বললেন, 'পাড়ার সব গাছই...'
কে এই উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়?
উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায় হলেন বাংলার অন্যতম বিখ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। তাঁর বাঁকুড়া মিমস পেজটি দারুণ জনপ্রিয়। এছাড়া তাঁর তৈরি করা যদুবাবুর টিউশনি, ঘোতন, ইত্যাদি চরিত্রগুলো দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে দর্শকদের থেকে। এছাড়া তিনি একাধিক বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। বাদ যায়নি সিনেমা এবং সিরিজও। একাধিক মিউজিক্যাল ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে উন্মেষকে।