দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খুন হলেন আরও এক তৃণমূলকর্মী। শনিবার রাতে বারুইপুরের বলবন এলাকায় সইদুল আলি শেখ নামে ওই তৃণমূলকর্মীকে পিটিয়ে মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, সিপিএম ও বিজেপি হাত মিলিয়ে খুন করেছে তাদের কর্মীদের। স্থানীয়রা বলছেন, দুষ্কৃতীদের এলাকা দখলের লড়াইয়ের জেরে এই খুন।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সইদুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান কয়েকজন। গভীর রাতে এলাকায় তাঁর মৃতদের উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে ওই তৃণমূলকর্মীকে।
ঘটনায় বিজেপি ও সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, এলাকার দখল নিতে বিরোধীরা একজোট হয়ে তাদের কর্মীকে খুন করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের দাবি, বারবার তৃণমূল এসব কথা বলে নিজেদেরকে নিজেরাই বিদ্রুপ করছে। নিহত যুবক নিজেও একজন দুষ্কৃতী। নিজেদের মধ্যে রেষারেষির জেরে এই খুন। তার সঠিক তদন্ত করার আগে সিপিএমের ঘাড়ে দায় চাপানো শাসক হিসাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি বিজেপির এমন ক্ষমতা হোক যাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাউকে দলের কর্মীরা ডাকলেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের ফাঁদে পড়ে মুসলমানরাই মুসলমানদের মারছে। এর মধ্যে বিজেপি কোথাও নেই। তৃণমূলও এটা ভালো করে জানে। বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপিয়ে ওরা প্রকৃত দুষ্কৃতীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।