উপড়ানো ২টি চোখই, প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছেড়ে চরম পরিণতি হল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর

শনিবার সকালে এক যুবক রহিমাদের বাড়ির পাশেই মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে রহিমার ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পায়। ২টি চোখ ছিল উপড়ানো। শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। গলায় ছিল ফাঁসের দাগ।

নিহত রহিমা খাতুন (ইনসার্টে) ও বিলাপরত তার পরিবার। 

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকার ধরমপুর গ্রামে। মৃত রহিমা খাতুন (১৪)-এর পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় যুক্ত প্রতিবেশী যুবক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল রহিমার। গত রবিবার বাড়ি থেকে প্রায় ২৮ হাজার টাকা নিয়ে গায়েব হয়ে যায় নাবালিকা। ঘরে পাওয়া যায় একটি চিরকুট। যাতে লেখা, ‘চিন্তা কোরো না’। এর পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে রহিমার পরিবার। বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও নাবালিকার খোঁজ পাননি তাঁরা।

শনিবার সকালে এক যুবক রহিমাদের বাড়ির পাশেই মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে রহিমার ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পায়। ২টি চোখ ছিল উপড়ানো। শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। গলায় ছিল ফাঁসের দাগ। মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।

দেহ উদ্ধারের পর নিহত নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, প্রতিবেশী তরুণ ওকে উত্যক্ত করত। ওকে বিয়ে করবে বলে ফুসলে নিয়ে গিয়েছে। ওর পরামর্শেই মেয়ে বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়েছে। তার পর টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রহিমাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে ওই যুবক।

ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুন করার পরিকল্পনা করেই কি সে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল, না কি পরে কোনও বিবাদের জেরে তাকে খুন করেছে তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। দোষীর ফাঁসির দাবি করেছে নিহতের পরিবার।