সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, 'দুষ্টু লোকেদের' সঙ্গে মিলে কিছু বিএলআরও জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেম মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই হঁশিয়ারি বাস্তবায়িত করা সহজ কাজ নয় বলে মনে করছে নবান্ন।
ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের কাজকর্মে নজর রাখার জন্য এক বছর আগে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটি থাকা সত্ত্বেও জমি চুরি হচ্ছে। দখল হয়ে যাচ্ছে খাস জমিও। আপাতত এই কমিটিকে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। ওসি, বিডিও এবং বিএলআরওকে নিয়ে এই ত্রিস্তরীয় কমিটি হলেও, খোদ বিএলআরওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তাই বাকি দুই সদস্যকে সক্রিয় হয়ে যথাযথ ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(পড়ুন। বেতন বেড়েছে বিধায়কদের, এবার কাউন্সিলরদেরও বৃদ্ধির দাবি কংগ্রেসের)
আরআই নিয়োগ জরুরি
কিন্তু এই নজরদারি কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ, নিয়মিত ফিল্ড ভিজিটের মাধ্যমে নজদারি চালানো, ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার বা আরআইদের কাজ। বর্তমান পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্য মাত্র ৫০০ আরআই রয়েছেন। কিন্তু ভাল করে নজরদারি চালানো জন্য ৩ হাজার ৩৪২ জন আরআই প্রয়োজন। কিন্তু তা না থাকায় ডিডিও, ওসি এবং বিএলআরওকে নিয়ে নজরদারি কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
ভূমিসংস্কার দফতরেই প্রশ্ন ডিডিও, ওসি নজরদারির কাজ কতটা সামলাতে পারবেন। কারণ তাঁদের বিষয়গুলি বোঝার ব্যপার রয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলি বুঝে নিয়ে তদন্ত শুরু করা তাঁদের কাছে একটু চাপেরই হবে। সমস্যারই কারণ তাই আরআই নিয়োগই এই মূল কাজ হওয়া উচিত বলে মনে করছেন আধিকারিকদের একাংশ।
(পড়ুন। সমস্ত রুটে চলবে না, তবে ট্রাম থাকবে কলকাতায়, HC-র নির্দেশের পরে বৈঠক রাজ্যের)
তদন্তে দুই সদস্য দল
মাটিগাড়া এবং রাজগঞ্জে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু মাটিগাড়াতে ৯৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নবান্ন থেকে দুই সদস্যের একটি দল পাঠানো হয়েছে। তাঁরা খতিয়ে দেখে দফরতে রিপোর্ট জমা দেবে।