রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল – বিজেপি টক্করের উপকেন্দ্র নন্দীগ্রামে বিজেপির সমর্থনে প্রধান হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। সদস্যও যেমন তেমন নন, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের জামাই। এই ঘটনায় গোটা জেলায় শোরগোল পড়েছে। তৃণমূলের অন্দরেই বিজেপির সঙ্গে সুফিয়ান সেটিং করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যদিও সুফিয়ানের জামাই হাবিবুরের দাবি, এসব বাজে কথা। নির্বাচিত সদস্যরা যোগ্য মনে করেছেন তাই আমাকে প্রধান নির্বাচিত করেছেন।
দলের মনোনীত প্রার্থীকে প্রধান নির্বাচিত করতে হবে বলে হুইপ জারি করেছিল তৃণমূল। সেই নির্দেশের ‘এইসি কি তেয়সি’ করে নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন শেখ সুফিয়ানের প্রধান। এর জেরে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
আঠারো আসনের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। ৬টিতে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে শেখ শাহনাওয়াজকে প্রধান পদপ্রার্থী ঘোষণা করে হুইপ জারি করা হয়। শুক্রবারের ভোটাভুটিতে পালটা প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ান সুফিয়ানের জামাই হাবিবুর। তাঁকে সমর্থন করেন তৃণমূলের ৫ সদস্য। সমর্থন দেন বিজেপির ৬ সদস্যও। ১৮ আসনের পঞ্চায়েতে ১১ জনের সমর্থন নিয়ে দলের মনোনীত প্যানেলকে পিছনে ফেলে প্রধান হন হাবিবুর।
সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শেখ সুফিয়ানকে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক থেকে জেলা পরিষদের টিকিট দেয় তৃণমূল। এর পরই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে দলীয় নেতৃত্বের ওপর চাপ দিতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। চাপের মুখে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুফিয়ানকে সরিয়ে সামসুল ইসলামকে প্রার্থী করে তৃণমূল। ওদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট টিকিট না পাওয়ায় দলের ভিতর কোন্দল শুরু হয়। তখনই বোঝা গিয়েছিল, সুফিয়ানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তৃণমূলের। এদিন যদিও জামাইয়ের প্রধান হওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।