ঝাড়গ্রামের রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠ। সেখানেই গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিনের ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছেন মমতা। স্কুলেই গান গাইলেন শিক্ষিকারা। পাশেই দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
গান হচ্ছে, আমি কন্যা আমি কন্যা কন্যাশ্রী…তালে তালে হাততালি দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পাশে অন্যান্য ছাত্রীরাও রয়েছেন। তারাও গানের সুরে গলা মেলাচ্ছেন। একেবারে অন্য মুডে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেই গানের ভিডিয়ো নিজেই পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রইল সেই ভিডিয়ো।
বেশ দীর্ঘ গান। মন দিয়ে সেই গানে তাল মেলালেন মমতা। আমি কন্যা কন্যা আমি কন্যাশ্রী। আমি ভাগ্য, আমি ভাগ্য, আমি ভাগ্য ভাগ্যশ্রী, আমি যশ আমি যশ যশশ্রী, আমি ভূমি আমি ভূমি ভূমিশ্রী…গাইলেন শিক্ষিকা। সেই গানের তালে তাল মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর একসময় তিনি বলেন, আচ্ছা বলুন তো এই গানটি কথা আর গীতিকার কে? হেসে ফেলেন গায়িকা। তিনি বলেন, আপনার লেখা।
তবে মুখ্য়মন্ত্রী কবিতা, গান দুটোই লেখেন। নানা সময়ে তাঁর কবিতা নিয়ে রসিকতা করেন বিরোধীরা। এপাং, ওপাং ঝপাংয়ের শিশু পাঠ্য কবিতা নিয়েও নানা কথা বলেন বিরোধীরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শুধু যে কবিতা লেখেন সেটাই নয়, গানও লেখেন। আর গীতিকারের সামনেই সেই গান গেয়ে শোনালেন গায়িকা। কন্যাশ্রী রাজ্য়ের একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। বলা হয় মমতার স্বপ্নের প্রকল্প। সেই কন্যাশ্রীদের নিয়ে গান বেঁধেছেন মমতা। সেই গানই গেয়ে শোনালেন শিক্ষিকা, ছাত্রীরা। বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকে যে কড়া মমতাকে দেখে অভ্যস্ত অনেকেই, এদিন অবশ্য একেবারে অন্য় মুডে ছিলেন তিনি। একেবারে খোলামেলা মেজাজে ছিলেন মমতা।