বারাসতের নীলগঞ্জের মোজপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে পুলিশ ও শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে অভিযোগ জানাতে পালটা অভিযোগকারীকেই ভুয়ো মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গোটা এলাকা বারুদের স্তূপ হয়ে রয়েছে। পুরো বিষয়টাই জানে পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। জানেন বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষও। তাদের মদত ও বিনিয়োগ রয়েছে এই বাজি কারখানায়।
স্থানীয় যুবকরা জানাচ্ছেন, বাজি কারখানার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে শাসকদলের রোষে পড়তে হয়েছে। হুমকি, তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর কিছুই বাদ যায়নি। তাঁরা জানান, বেআইনি বাজি কারখানার অভিযোগ জানালে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করে পুলিশ। কাউকে গাঁজা কেস, কাউকে ধর্ষণের অভিযোগে মাসের পর মাস জেলে ভরে রাখে। আতঙ্ক এতটাই গভীর যে কারা এই কাজে যুক্ত বিস্ফোরণের পরও তাদের নাম মুখে নিচ্ছেন না স্থানীয়রা। তাদের দাবি, সংবাদমাধ্যম চলে গেলেই তাদের ওপরে হামলা হবে।
রবিহার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ নীলগঞ্জের মোজপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে গোটা একটি বাড়ি। আসেপাশের ৪ – ৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল ও পুলিশ। বুলডোজার ও ক্রেন দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও দেহ আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।