প্রস্তাবক ফর্ম জমা দিতে পারেন নির্বাচনে কমিশনের এই নিয়মের কথাই জানাতেই তিনি। তাই ফর্মে স্বাক্ষর করে দলীয় কর্মীদের হাতে দিয়ে তিনি হজ করতে চলে গিয়েছিলেন। মক্কা থেকে বাড়ি ফিরে এমনটা জানালেন উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মোহারুদ্দিন গাজি।
সৌদি আরবের মক্কা থেকে মনোনয়ন জমা দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে মোহারুদ্দিন। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সিপিএমের দায়ের করা এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের নির্দেশ দেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দের নজরদারিতে ডিআইজিসিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ইতিমধ্যে মিনাঁখার বিডিও-র দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আপরাধমূলক, প্রতারণা সহ একাধিক মামলায় দায়ের করেছে।
প্রায় এক মাস পর বাড়ি ফিরে মোহারুদ্দিনের বলেন, ‘কিছু মানুষ ভুল ভাবানোর চেষ্টা করছে। গ্রামের সবাই আমার নাম প্রস্তাব করে। কিন্তু এর মধ্যে হজের ডেট হয়ে যাওয়ায় আমি ফর্মে সই করে দিয়ে চলে যাই। আমার সাথীরা যাঁরা ছিলেন তাঁদের দায়িত্ব দিয়ে চলে যাই। ৫ বছর আগে যে নির্বাচন হয়েছিল তাতে এই ভাবে ফর্মে সই করে দিয়ে চলে যাই। একটা গাউডলাইন আমার জানা ছিল, প্রস্তাবক ফর্ম ফিলআপ করে জমা দিতে পারেন। তাই আমি ফর্মে সই করে দিয়ে চলে যাই।’
তবে তিনি জানান আইন যা বলবে তিনি তা মেনে নেবেন। তাঁর কথায়, ‘আইনের প্রতি আমার ভরসা আছে। আইন যা বলবে আমি তা মেনে নিতে বাধ্য।’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএমের দায়ের করা মামলায় মোহারুদ্দিনের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ৪ জুন দেশে ছাড়ে মোহারুদ্দিন। অথচ তাঁর মনোনয়ন জমা পড়ে ১২ জুন। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি পর্যবেক্ষণ ছিল জালিয়াতি করেই মনোনয়ন জমা দেন মোহারুদ্দিন। তিনি তাঁর মনোনয়ন বাতিল করতে তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে এই ঘটনার জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মোহারুদ্দিন এবার পাল্টা মামলা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।